পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
২৪১

সাহসের বিশেষ অবগত হইয়া কহিল ওরে ব্যলীক সর্ব্বনাশ করিয়াছিস্ এ রোগীটাকে খুন করিলি এ বচনার্দ্ধ অশ্ব চিকিৎসার মনুষ্যপর নয়। দেশ কাল পাত্র অবস্থা ভেদে চিকিৎসার বিশেষ আছে তোর প্রকরণ জ্ঞান নাই এ শাস্ত্র তোর পড়া নয় কুব্যুৎপত্তিমাত্র বলে অপঠিত শাস্ত্রের ব্যবস্থা দিস্ যা যা উত্তম গুরুর স্থানে বৈদ্যক শাস্ত্রের অধ্যয়ন কর “সঙ্কেত- বিদ্যা গুরুবক্ত্রাগম্যা” ইহা কি তুই কখন শুনিস্ নাই। এইরূপে ঐ চিকিৎসকৎসকে পবিত্র ভর্ৎসন করিয়া ঐ ক্লিন্নাক্ষ রোগিকে যথাশাস্ত্র ঔষধ প্রদান করিয়া নীরোগ করিল” (৪৩)।[১]

 শ্রীযুত রামকুমার কবিরাজের ব্যবস্থা, আর শ্রীযুত গঙ্গাধর কবিরাজের ব্যবস্থা এ উভয়ের অনেক অংশে সৌসাদৃশ্য আছে কি না, সকলে অনুধাবন করিয়া দেখিবেন।

 কবিরত্ন মহাশয়ের চতুর্থ আপত্তি এই,

"নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারীর বিবাহই নাই” (৪৪)।

[২]

কবিরত্ন মহাশয়ের এ আপত্তির উদ্দেশ্য এই, নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী, বিবাহ না করিয়া, যাবজ্জীবন ব্রহ্মচর্য্য অবলম্বন পূর্ব্বক কাল যাপন করেন। বিবাহ ও গৃহস্থাশ্রম নিত্য হইলে, নিত্য কর্ম্মের ইচ্ছাকৃত পরিত্যাগ তিনি প্রত্যবায়গ্রস্ত হইতেন। অতএব, বিবাহ নিত্য নহে। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী দারপরিগ্রহ করেন না, এই হেতুতে বিবাহের বা গৃহস্থাশ্রমের নিত্যত্ব ব্যাঘাত হয় না, ইহা তর্কবাচস্পতিপ্রকরণে আলোচিত হইয়াছে (৪৫)।[৩] কবিরত্ন মহাশয়ের সন্তোষার্থে প্রমাণান্তর উল্লিখিত হইতেছে।

 যস্যৈতানি সুগুুপ্তাানি জিহ্বোপস্থোদরং করঃ।


  1. {৪৩) প্রবোধচন্দ্রিকা, দ্বিতীয় স্তবক, তৃতীয় কুসুম।}}
  2. (৪৪) বহুবিবাহরাহিত্যারাহিত্যনির্ণয়, ১৯ পৃষ্ঠা।
  3. (৪৫) এই পুস্তকের ৬৭, ৬৮, ৬৯ পৃষ্ঠা দেখ।