পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুবিবাহ । ২85 বিবাহ করিলে, ব্রতভঙ্গ হয়, এ জন্যই নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারীর পক্ষে বিবাহ নিষিদ্ধ দৃষ্ট হইতেছে। এমন স্থলে, নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী বিবাহ করেন না বলিয়া, বিবাহের নিত্যত্ব ব্যাঘাত হইতে পারে না । শাস্ত্রকারেরা অবিরক্ত ব্যক্তির পক্ষেই গৃহস্থাশ্রমের ও গৃহস্থাশ্রমপ্রবেশমূলক বিবাহের নিত্যত্বব্যবস্থা করিয়াছেন। তর্কবাস্পতিপ্রকরণের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, আদ্যোপান্ত, বিবাহের নিত্যত্ব, নৈমিত্তিকত্ব ও কাম্যত্ব সংস্থাপনে নিযোজিত হইয়াছে। কবিরত্ন মহাশয়, আলস্য ত্যাগ করিয়া, ঐ পরিচ্ছেদে দৃষ্টিবিন্যাস করিলে, বিবাহের নিত্যত্ব সিদ্ধ হয় কি না, তাহার সবিশেষ অবগত হইতে পরিবেন । কবিরত্ন মহাশয়ের পঞ্চম আপত্তি এই, “অসবর্ণবিবাহ যদি দ্বিজাতিদিগের পূৰ্ব্বে বিধিই নাই এই ব্যখ্যা করেন তবে বিষ্ণুক্ত বচন সঙ্গত হয় ন| বিষ্ণুবচন কিঞ্চিৎ লিখিয়াছেন শেষ গোপন করিয়া রাখিয়াছেন ইহা কি উচিত । শাস্ত্রের যথার্থ ব্যাখ্যা করিতে হয় । বিষ্ণুবচন যথা সবর্ণসু বহুভাৰ্য্যামু বিদ্যমানসুি জ্যেষ্ঠয়া সহ ধৰ্ম্মং কুর্ষ্যাৎ । এই পর্য্যন্ত লিখিয় শেষ লিখেন নাই । শেষটুক লিখিলেও ব্যাখ্য' সঙ্গত হয় না। উহার শেষ এই । মিশ্রাসু চ কনিষ্ঠয়াপি সবর্ণয়া। সবর্ণভাবে হানন্তরয়ৈবাপদি চ। নত্বেব দ্বিজঃ শূদ্ৰয় । ৰিজস্ত ভাৰ্যা শূদ্ৰা তু ধৰ্ম্মার্থে ন ভবেৎ কচিৎ। রত্যৰ্থমেব সা তস্য রাগান্ধস্ত প্রকীৰ্ত্তিতা ইতি । এই বিষ্ণুবচনে। মিশ্রীষ্ম চ কনিষ্ঠয়াপি সবর্ণয়। এই লিখাতে