পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



উপসংহার

শ্রীযুক্ত তারানাথ তর্কবাচস্পতি প্রভৃতি প্রতিবাদী মহাশয়েরা, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ডের শাস্ত্রীয়তাপক্ষ সমর্থন করিবার নিমিত্ত, যে সমস্ত শাস্ত্র ও যুক্তি প্রদর্শন করিয়াছেন, তৎসমুদয় সবিস্তর আলোচিত হইল। যদৃচ্ছাক্রমে যত ইচ্ছা বিবাহ করা কোনও ক্রমে শাস্ত্রকারদিগের অভিপ্রেত নহে, ইহা যাহাতে দেশস্থ সর্ব্বসাধারণ লোকের হৃদয়ঙ্গম হয়, এই আলোচনাকার্য্য সেইরূপে নির্ব্বহিত করিবার নিমিত্ত প্রয়াস পাইয়াছি; কিন্তু কত দূর কৃতকার্য্য হইয়াছি, বলিতে পারি না। তবে, এক কথা সাহসপূর্ব্বক বলিতে পারা যায়, ঈদৃশ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিয়া, যদ্রূপ যত্ন ও যদ্রূপ পরিশ্রম করা উচিত ও অবশ্যক, সাধ্যানুসারে সে বিষয়ে ক্রটি করি নাই। যে সকল মহাশয়েরা, কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া, অথবা আমার প্রতি দয়া প্রকাশ করিয়া, পরিশ্রম স্বীকার পূর্ব্বক, কিঞ্চিৎ অভিনিবেশ সহকারে, এই পুস্তক আদ্যোপান্ত অবলোকন করিবেন, আমার যত্ন ও পরিশ্রম কিয়দংশেও সফল হইয়াছে, অথবা সর্ব্বাংশেই বিফল হইয়াছে, তাঁহারা তাহার বিচার ও মীমাংসা করিতে পারিবেন। আমি এই মাত্র বলিতে পারি, পূর্ব্বে যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রবহির্ভূত ও ধর্ম্মবিগর্হিত ব্যবহার বলিয়া আমার যে সংস্কার জন্মিয়াছিল, সাতিশয় অভিনিবেশ সহকারে, বিবাহসংক্রান্ত শাস্ত্রসমূহের সবিশেষ অনুশীলন করাতে, সেই সংস্কার সর্ব্বতোভাবে দৃঢ়ীভূত হইয়াছে। ক্রমাগত কিছু কাল এই বিষয়ের আলোচনা করিয়া, আমার এত দূর পর্য্যন্ত বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রসিদ্ধ

৩২