পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
২৩

সবর্ণামূঢ্বা পশ্চাৎ রিরংসবশ্চেৎ তদা তেষাম্‌ অবরাঃ হীনবর্ণাঃ ইমাঃ ক্ষত্রিয়াদ্যাঃ ক্রমেণ ভার্য্যাঃ স্যুঃ”[১]

 সুলক্ষণা কন্যা বিবাহ করিবেক ইহা পুর্বে উক্ত হইয়াছে; বিবাহযোগ্যা কন্যা দ্বিবিধা সবর্ণা ও অসবর্ণা; তাহার মধ্যে সবর্ণা প্রশস্তা; যথা মনু কহিয়াছেন, “অগ্নিহোত্রাদি ধর্ম্মসম্পাদনের নিমিত্ত, জাতকের প্রথম বিবাহে সবর্ণা অর্থাৎ বরের সজাতীয়া কন্যা প্রশস্তা, যেমন ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণী, ক্ষত্রিয়ের ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যের বৈশ্যা। দ্বিজাতিরা, ধর্ম্মকার্য্যসম্পাদনের নিমিত্ত, অগ্রে সবর্ণা বিবাহ করিয়া, পশ্চাৎ যদি রিরংসু হয়, অর্থাৎ রতিকামনা পূর্ণ করিতে চাহে, তবে অবরা; অর্থাৎ হীনবর্ণা বক্ষ্যমাণ ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা, শূদ্রা অনুলোমক্রমে তাহাদের ভার্য্যা হইবেক।

মিত্রমিশ্র কহিয়াছেন,

 অতএব মনুনা

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশোহবরা ইতি॥

 কামতঃ ইতি অবরাঃ ইতি চ বদতা সবর্ণাপরিণয়নমেব মুখ্যামিত্যুক্তম্[২]

 দ্বিজাতিদিগের ধর্ম্মার্থ বিবাহে সবর্ণা বিহিতা; কিন্তু যাহারা কামতঃ অর্থাৎ কামবশতঃ বিবাহ করিতে প্রবৃত্ত হয়, বক্ষ্যমাণ অবরা অনুলোমক্রমে তাদের ভার্য্যা হইবেক। এ স্থলে মনু “কামতঃ” ও “অবরাঃ” এই দুই কথা বলাতে, অর্থাৎ কামনিবন্ধন বিবাহস্থলে অসবর্ণা বিবাহের বিধি দেওয়াতে, সবর্ণাপরিণয় মুখ্য বিবাহ, ইহাই উক্ত হইয়াছে।

বিশ্বেশ্বরভট্ট কহিয়াছেন,

 “অনুলোমক্রমেণ দ্বিজাতীনাং সবর্ণাপাণিগ্রহণসমনন্তরং ক্ষত্রিয়াদিকন্যাপরিণয়ো বিহিতঃ তত্র চ সাবিবাহো মুখ্যঃ ইতরন্ত্বনুকম্পঃ[৩]

  1. পরাশরভাষ্য, দ্বিতীয় অধ্যায়।}}
  2. বীরমিত্রোদয়।
  3. মদনপারিজাত।