পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
২৫

সবর্ণা যস্য যা ভার্য্যা ধর্ম্মপত্নী তু সা স্মৃতা।
অসবর্ণা চ যা ভার্য্যা কামপত্নী তু সা স্মৃতা[১]

 যাহার যে সবর্ণা ভার্য্যা, তাহাকে ধর্মপত্নী বলে; আর, যাহার যে অসবর্ণা ভার্য্যা, তাহাকে কামপত্নী বলে।

এই শাস্ত্র অনুসারে, ধর্ম্মকার্য্য সম্পাদনের নিমিত্ত বিবাহিতা সবর্ণা স্ত্রী ধর্মপত্নী; আর, কামোপশমনের নিমিত্ত বিবাহিতা অসবর্ণা স্ত্রী কামপত্নী। অতঃপর, ধর্ম্মার্থে সবর্ণাবিবাহ ও কামার্থে অসবর্ণাবিবাহ শাস্ত্রকারদিগের সম্পূর্ণ অভিমত, এ বিষয়ে আর সংশয় থাকা উচিত নহে।

 এক্ষণে অসবর্ণা বিবাহবিধির পরিসংখ্যাত্ব সম্ভব ও সঙ্গত কি না, তাহা সমালোচিত হইতেছে। প্রথম পুস্তকে বিধিত্রয়ের যে সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে, পাঠকগণের সুবিধার জন্য, তাহা উদ্ধৃত হইতেছে;—

 “বিধি ত্রিবিধ অপূর্ব্ববিধি, নিয়মবিধি ও পরিসংখ্যাবিধি। বিধি ব্যতিরেকে যে স্থলে কোনও রূপে প্রবৃত্তি সম্ভব না, তাহাকে অপূর্ব্ববিধি কহে; যেমন, “স্বৰ্গকামো যজেত,” স্বৰ্গকামনায় যাগ করিবেক। এই বিধি না থাকিলে, লোকে স্বর্গলাভবাসনায় কদাচ যাগে প্রবৃত্ত হইত না; কারণ, যাগ করিলে স্বর্গলাভ হয়, ইহা প্রমাণান্তর দ্বারা প্রাপ্ত নহে। যে বিধি দ্বারা কোনও বিষয় নিয়মবদ্ধ করা যায়, তাহাকে নিয়মবিধি বলে; যেমন, “সমে যজেত,” সম দেশে যাগ করিবেক। লোকের পক্ষে যাগ করিবার বিধি আছে; সেই যাগ কোনও স্থানে অবস্থিত হইয়া করিতে হইবেক; লোকে ইচ্ছানুসারে সমান অসমান উভয়বিধ স্থানেই যাগ করিতে পারিত; কিন্তু “সমে যজেত,” এই বিধি দ্বারা সমান স্থানে যাগ করিবেক, ইহা নিয়মবদ্ধ হইল। যে বিধিদ্বারা

  1. মৎস্যসূক্ত, একত্রিংশ পটল