পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৮৫

নিবৃত্তি না হইলে, স্ত্রীলোকের সন্তানসম্ভাবনা নিবৃত্ত হয় না। অতএব, যাবৎ রজোনিবৃত্তি না হয়, তাবৎ স্ত্রী বন্ধ্যা, মৃতপুভ্রা বা কন্যামাত্রপ্রসবিনী বলিয়া পরিগৃহীত হওয়া অসম্ভব। কিন্তু স্ত্রীর রজোনিবৃত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করিতে গেলে, পুরুষের বয়স অতীত হইয়া যায়। সে বয়সে দারপরিগ্রহ করিলে,সন্তানোৎপত্তির সম্ভাবনা থাকা সন্দেহস্থল। এইরূপ নিরুপায় স্থলে, মনু ব্যবস্থা করিয়াছেন, প্রথম ঋতুদর্শন দিবস হইতে আট বৎসর যে স্ত্রীলোকের সন্তান না জন্মিবেক, তাহাকে বন্ধ্যা, দশ বৎসর যে স্ত্রীলোকের সন্তান হইয়া মরিয়া যাইবেক, তাহাকে মৃতপুত্রা, আর এগার বৎসর যে স্ত্রীলোকের কেবল কন্যাসন্তান জন্মিবেক, তাহাকে কন্যামাত্রপ্রসবিনী বোধ করিতে হইবে; এবং তখন পুরুষের পুত্রকামনায় পুনরায় দারপরিগ্রহ করিবার অধিকার জন্মিবেক। নতুবা, বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি অবধারণের পর আট বৎসর, দশ বৎসর, এগার বৎসর প্রতীক্ষা করিয়া বিবাহ করিবেক, মনুবচনের এরূপ অর্থ নহে। আর, যদি মনুবচনের ঐরূপ অর্থই, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের নিতান্ত অভিমত হইয়া থাকে, তাহা হইলে, কোন সময়ে ও কি উপায়ে বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি অবধারিত হইবেক, এ বিষয়ের মীমাংসা করিয়া দেওয়া সর্বতোভাবে উচিত ছিল; কারণ, বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি অবধারিত হইলেই, অবধারণের দিবস হইতে অষ্টবর্ষাদি কালের গণনা আরম্ভ হইতে পারে, তদ্ব্যতিরেকে তাদৃশ কালগণনা কোনও মতে সম্ভবিতে পারে না। লোকে ব্যবস্থা অনুসারে চলিতে পারে, এরূপ পথ না করিয়া ব্যবস্থা দেওয়া ব্যবস্থাপকের কর্ত্তব্য নহে।

 তর্কবাচম্পতি মহাশয় স্থলান্তরে নির্দ্দেশ করিয়াছেন,—

 “বিদ্যাসাগরেণ নিত্যনৈমিত্তিককাম্যভেদেন বিবাহত্রৈবিধ্যৎ যদভিহিতং তৎ কিং মন্বাদিশাস্ত্রোপলব্ধম্ উত স্বপোপলব্ধম্ অথ স্বশেমুষীপ্রতিভাসলব্ধং বা তত্র