এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
না। তাঁর মিষ্টান্ন ছড়ান ইতর লোকদেরই পাতে।’ বাই জোভ্, সূক্ষ্ম বটে!
শৈল
আর কি কোনো কথা নেই তোমাদের? ক্ষিতীশবাবু শুনতে পাবেন যে।
সতীশ
ভয় নেই, ওখানে ফোয়ারা ছুটছে, বাতাস উল্টোদিকে, শোনা যাবে না।
অর্চনা
আচ্ছা, তোমরা সব তাস খেলল, টেনিস্ খেলতে যাও, ওই মানুষটার সঙ্গে হিসেব চুকিয়ে আসি গে।
অর্চনা প্লেটে খাবার সাজিয়ে নিয়ে গেল ক্ষিতীশের কাছে। দোহারা গড়নের দেহ, সাজে সজ্জায় কিছু অষত্ন আছে, হাসিখুশি ঢল্ঢলে মুখ, আয়ু পশ্চিমের দিকে এক ডিগ্রি হেলেছে।
অর্চনা।
ক্ষিতীশবাবু, পালিয়ে বসে আছেন আমাদের কাছ থেকে তার মানে বুঝতে পারি কিন্তু খাবার টেবিলটাকে অস্পৃশ্য করলেন কোন দোষে? নিরাকার আইডিয়ায় আপনারা অভ্যস্ত, নিরাহার ভোজেও কি তাই? আমরা বঙ্গনারী বঙ্গসাহিত্যের সেবার ভার পেয়েছি যে দিকটাতে সে দিকে আপনাদের পাকযন্ত্র।
২৩