ও কী! প্রশংসা শুনতে আজও আপনার লজ্জা বোধ হয়? খাওয়া বন্ধ করলেন যে? আচ্ছা, সত্যি বলুন, নিশ্চয় খয়ের লোক কাউকে লক্ষ্য করে লিখেছেন। রক্তের যোগ না থাকলে অমন অদ্ভুত সৃষ্টি বানানো যায় না। ঐ যে, যে জায়গাটাতে মিস্টার্ কিষেন গাপ্টা বি-এ ক্যাণ্টাব্ মিস্ লোটিকার পিঠের দিকের জামার ফাঁক দিয়ে আঙুটি ফেলে দিয়ে খানাতল্লাসির দাবি করে হোহা বাধিয়ে দিলে। আমার বন্ধুরা সবাই পড়ে বললে, ‘ম্যাচ্লেস, বঙ্গসাহিত্যে এ জায়গাটার দেশলাই মেলে না, একটু পোড়া কাঠিও না।’ আপনার লেখা ভয়ানক রিয়লিস্টিক্, ক্ষিতীশবাবু। ভয় হয় আপনার সামনে দাঁড়াতে।
ক্ষিতীশ
আমাদের দুজনের মধ্যে কে বেশি ভয়ঙ্কর, বিচার করবেন বিধাতাপুরুষ।
অর্চনা
না, ঠাট্টা করবেন না। সিঙাড়াটা শেষ করে ফেলুন। আপনি ওস্তাদ, ঠাট্টায় আপনার সঙ্গে পারব না। মোস্ট্ ইণ্টারেস্টিং আপনার বইখানা। এমন সব মানুষ কোথাও দেখা যায় না। ঐ যে মেয়েটা কী তার নাম কথায় কথায় হাঁপিয়ে উঠে বলে ‘মাই আইজ্’, ‘ও গড্’-লাজুক ছেলে স্যাণ্ডেলের সঙ্কোচ ভাঙবার জন্যে নিজে মোটর হাঁকিয়ে
২৫