পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সোমশংকর

 ওর একটি ব্রত আছে। ওর জীবনে সমস্ত দরকার তাই নিয়ে, তাকে সাধ্যমতো সার্থক করা আমার ব্রত।

বাঁশরী

 ওর ব্রত আগে, তারই পশ্চাতে তোমার, পুরুষের মতে শোনাচ্ছে না, এ কথা ক্ষত্রিয়ের মতো নয়ই। এতবড়ো পুরুষকে মন্ত্র পড়িয়েছে ঐ সন্ন্যাসী। বুদ্ধিকে দিয়েছে ঘোলা করে, দৃষ্টিকে দিয়েছে চাপা। শুনলুম সব, ভালো হল। গেল আমার শ্রদ্ধা ভেঙে গেল আমার বন্ধন ছিঁড়ে। বয়স্ক শিশুকে মানুষ করবার কাজ আমার নয়, সে কাজের ভার সম্পূর্ণ দিলেম ছেড়ে ঐ মেয়ের হাতে।

 পুরন্দরের প্রবেশ। সোমশংকর প্রণাম করলে, অগ্নিশিখার মতো বাঁশরী উঠে দাঁড়াল তার সামনে।

বাঁশরী

 আজ রাগ করবেন না, ধৈর্য ধরবেন; কিছু প্রশ্ন করব।

পুরন্দরের ইঙ্গিতে সোমশংকরের প্রস্থান

পুরন্দর

 আচ্ছা, বলো তুমি।

৮১