পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খণ্ড
৩৯৪

প্রতিষ্ঠান, এমনকি সমজিদ মন্দির গীর্জাও। স্যার কেজি গুপ্ত হাই স্কুলটিও এইসব বর্বর পশুরা অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত করে। জিনারদি এলাকার অবিভক্ত বাংলার কৃতী সন্তান স্যার কে, জি গুপ্ত ১৯১৯ সালে নরসিংদী তারাবো রাস্তার পাশে এই স্কুলটি স্থাপন করেন। তার নামানুসারেই স্কুলটির নামকরণ করা হয়। এই স্কুলের সন্নিকটে অবস্থিত পাঁচদোলা পুল। এখানেই ছিল নর পশুদের একটি ক্যাম্প। নরপশূরা নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও গণহত্যা চালাতো এখান থেকে। নর পশুদের জবাব দিচ্ছিলো মুক্তিবাহিনী। মাঝে মাঝে মুক্তিবাহিনী পাক সেনাদের আক্রমণ কারে উপযুক্ত প্রতিশোধ গ্রহণ করতো। অতর্কিত আক্রমণের জন্য মুক্তি সেনারা স্কুলটিকে ব্যবহার করতো বর্ম হিসাবে।

 তাই পাক সেনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে এই স্কুলের কোন চিহ্ন অবশিষ্ট নেই। বিজ্ঞান বিভাগের প্রায় ২০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি এই সব অক্ষরজ্ঞানহীন পশুরা নষ্ট করে দিয়েছে।