পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8°と বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড বর্ষের ছাত্র। দেশের গোলযোগকালে কুমিল্লায় তার বাপের বাড়ী চলে যান। কুমিল্লার প্রখ্যাত ব্যারিষ্টারের একমাত্র ছেলে কাজল গোলযোগের প্রথমভাগেই জল্লাদদের শিকার হলেন। কাজলের বোনদের উপর অনেক অত্যাচার চলে। পরে আর তাদের কোন সংবাদ আমরা পাইনি। করতেন। তিনি ছিলেন ১ম বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাপ, মা থাকতেন বরিশালে। দুর্যোগকালে তিনি রাজশাহীতে ছিলেন। পাকবাহিনী তাঁকে পাকড়াও করলো। অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হল। পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হলো। তিনি পরীক্ষা দিলেন। পাস করলেন। তারপর ক্যান্টনমেন্টে ডেকে আনা হলো। গুলি করে মারা হল। উদ্ভট উপায়ে পাকবাহিনী ঘৃণ্য ইচ্ছা চরিতার্থ করলো। মহাবিদ্যালয়ের ছাত্ররা একজন রাজনৈতিক নেতাকে হারালো। হানাদার আমলে গোপনে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন যে দু’জন কর্মরত কর্মচারী, তাঁরা হলেন কাইয়ুম ও সাইদুল কাইয়ুম ছাত্রাবাসের কেরানী। আর সাইদুল টাইপিষ্ট। জীবনের প্রতি ঝুঁকি নিয়ে কাইয়ুম, সাইদুল অনেক দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন। কিন্তু তাদের এই কাজের একটি দুর্বল অংশ বুঝতে পারে স্থানীয় অবাঙ্গালী ছাত্রদল। তারপর আর বিলম্ব হয়নি। একদিন দু’জনেই একসঙ্গে শেষ হয়ে গেলেন। তাই ছাত্রদের মাঝে কাইয়ুম, সাইদুল স্মৃতি হয়ে থাকবেন চিরকাল। নগরবাড়ীর পথ দিয়ে আগত হিংস্র পাকবাহিনীর হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য বর্ডার-এর দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল বাবুর্চি মান্নান ও বয় মন্টু, সিরাজ, শামসুল এবং মনসুরেরা। বিধির ইচ্ছায় পদার পাড়ে বড়কুঠির সামনেই বাঘের সম্মুখে পড়ে সেইসব হতভাগার দল। তারপর এক লাইনে মেশিনগানের গুলিতে লুটিয়ে পড়ল এতগুলো প্ৰাণ।