পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

485 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড গেরিলার গতিশীলতার প্রয়োজনঃ (ক) (*!) ধাঁধার জন্য। চমকে দেওয়ার জন্য। গাতশীলতার জন্য গেরিলাঃ (*!) (ঘ) (8) 8 | শারীরিকভাবে হাল্কা হবে। বাহ্যিক ও মানসিক দিক থেকে দৃঢ় হবে। চিন্তাশীল ও ভাল পরিকল্পনাবিদ হবে। আক্রমণ- গেরিলাই সর্বদা আক্রমণে উদ্যেগী হবে। যদি কোথাও শক্র আক্রমণ করে তবে যথাসম্ভব সম্মুখ যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে হবে। চেনতা- গেরিলার চেতনা ও উদ্যম সর্বোচ্চস্তরের হওয়া চাই। তাদের মনোভাব এমন হবে যে, তারা সবাই একই পরিবারের লোক, আদরশ বা কারণের জন্য যুদ্ধে রত। সার্থীকে বিপদে ফেলে গেরিলা কখনো পালায় না। নিয়মানুবর্তিতা- গেরিলার শৃঙ্খলা সর্বোচ্চস্তরের হবে। নিজের জীবন বিপন্ন করেও গেরিলা তার দলপতির নির্দেশ মানে। মুক্তিবাহিনী কি করবে ও কি করবে না কি করবে: (ক) (*!) (*) (ঘ) (8) (5) (ছ) (জ) Sl (ক) (२) সর্বদা শক্রর খবরাখবর সম্বন্ধে ওয়াকি হাল থাকতে হবে। শত্রর চর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, তাদের সম্বন্ধে সজাগ থাকতে হবে। সান্ত্রী, পর্যবেক্ষণ পোষ্ট, পেট্রল, পাসওয়ারড ইত্যাদি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো ঘাঁটিকে রক্ষা করতে হবে। শক্রযেখানে দুরবল সেখানে সকল শক্তি একত্রিত করে আঘাত হানতে হবে। শক্রঅধিক শক্তিশালী হলে সরে আসতে হবে। গেরিলাকে সর্বদা চলমান থাকতে হবে- কোন অপারেশন শেষে তৎক্ষণাৎ সরে আসতে হবে। গেরিলা তৎপরতার জবাব হিসেবে শত্রর যে কোন ধ্বংসাত্নাক আক্রমণ থেকে গ্রামকে বাঁচাতে হবে। নারীদের প্রতি গেরিলারা সম্লান প্রদরশন করবে এবং শিশুদের স্নেহ করবে। বিপদে উভয়কে বাঁচাবে। মুক্তিবাহিনীর সততা, ন্যায় বিচার এবং একনিষ্ঠতার উদাহরণ জনগণের সামনে প্রদান করতে হবে। কি করবে নাঃ বাছ বিচার ছাড়া বেসামরিক হত্যাকান্ডে লিপ্ত হবে না। গৃহ বিবাদে লিপ্ত হবে না ও অতীতের গৃহবিবাদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অস্ত্র ব্যবহার করবে না।