পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

651 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড শ্রীমঙ্গলের নিকট পাকফৌজ হতাহত পূর্ব রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজ ৩০ শে জুন শ্রীমঙ্গলের নিকট পাক সামরিক ঘাঁটিতে গুলিবর্ষণ করেন এবং বেশ কতজন পাকফৌজকে হতাহত করেন। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকু- এলাকাতেও মুক্তিফৌজ নিতান্ত সক্রিয়। কুমিল্লা রণাঙ্গনে ১লা জুলাই কুমিলস্না জেলার আমজেদগরে একটি পাকিসত্মানী গোলন্দাজ বাহিনী আক্রান্ত হয়। প্রতিশোধ নিতে যেয়ে পাক সৈন্যরা ১৫ জন বেসামরিক নাগরিককে নিহত করে। দক্ষিণ-পূর্ব খন্ডে ৭০ জন খানসেনা নিহত আগরতলাঃ মুক্তফৌজ কমান্ডো সাফল্যের সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ৩রা জুলাই দক্ষিণ-পূর্ব রণাঙ্গনে ৭০ জনের অধিক পাক সৈন্যকে নিহত করেছেন। মুহিবনগরে প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায় যে, উক্ত দিবসে কসবা অঞ্চলে এক প্রচ- সংগ্রামে মুক্তিফৌজ কমা-:ার হাতে খতম হয়েছে প্রায় ৫০ জন খান সেনা। ঐ দিন পাক সৈন্যরা যখন সিঙ্গারবিল রেলওয়ে সেতুটি মেরামত করছিল, সেই মুহুর্তে মুক্তিফৌজ কমান্ডো ভয়াবহ আক্রমণ চালান এবং ৮ জন পাক ফৌজের প্রাণনাশ করেন। কুমিলস্না খন্ডের ঘোলাপাড়াতেও মুক্তিফৌজের গোপন আক্রমণে অন্ততঃ চারজন খান সেনা খতম হয়েছে। সাতক্ষীরায় মুক্তফৌজের তৎপরতা সাতক্ষীরায় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৬০০ শত্রসেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া মোট ২৬টি আক্রমণে তারা ৩০০ জন পাক সৈন্যকে খতম করেন। ভোমরা, পারুলিয়া, মাহমুদপুর, কুশখালী ও কাকডাঙ্গায় আক্রমণ চালানো হয়। এছাড়া সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলীম লীগ ও জামাতে ইসলামের গুন্ডা ও হানাদার সৈন্যদের পদলেহী দালালদের খতম করার কাজ ব্যপকহারে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিফৌজ পাটকেলঘাটা, তালা, পাইকগাছা, আশাশুনি, বদরতলা, কলারোয়া প্রভৃতি স্থানে ১৬ জন দালালকে গুলি করে হত্যা করেছেন। -স্বদেশ, ১৪ জুলাই, ১৯৭১ 来 米 米 বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে পাক সৈন্যের চরম বিপর্যয় নাভারণ, ঝিকরগাছা ও অন্য অনেক জায়গা মুক্তিফৌজের দখলে (নিজস্ব প্রতিনিধি) মুজিবনগর, ১৪ জুলাই-এবার পাল্টা মারের পালা। মুক্তিফৌজ এখন বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে খানসেনাদের জোর মার দিচ্ছে। এ মারের চোটে পাক সৈন্যরা যশোর অঞ্চলে নাভারন ও ঝিকরগাছা ছেড়ে চলে গেছে। এই এলাকা এখন মুক্তি সেনাদের কজায়। ওদিকে খুলনার একটি ফাঁড়িও মুক্তিফৌজ দখল করে নিয়েছে। এখানকার পাক সৈন্যদের অস্ত্রশস্ত্র সব মুক্তি যোদ্ধাদের দখলে। মেহেরপুর অঞ্চলেও পাক সৈন্যদের চরম বিপর্যয়। এখানে ৫৬ জন খানসেনা নিকেশ হয়েছে। কুমিল্লায় পাক সরকার যে তাঁবেদার বাহিনী সৃষ্টি করেছিল তারা এখন স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছে। এই এলাকাতেও মুক্তিফৌজের সাফল্য অসামান্য।