পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

655 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড সেতুগুলি বিনষ্ট হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়ে খান বাহিনী সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহে তীব্র সংকটের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। শাহবাজপুরে মুক্তিফৌজের হাতে ৯ জন খান সেনা নিহত (বিশেষ সংবাদদাতা) গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটায় মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে শাহবাজপুর রেল ষ্টেশনে অবস্থানরত ৯ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে। স্টেশনের গেটঘরে পাহারারাত সেন্ট্রিও নিহত হয়েছে। এ খশচযুদ্ধে মুক্তিফৌজ ৩ ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করে। অন্য একটি দল একই দিনে বড়গ্রাম বি ও পি-তে (সুতারকান্দি) আক্রমণ চালিয়ে কিছুসংখ্যক পাকসেনা নিহত করে। প্রশংসনীয় তৎপরতার সাথে শাহবাজপুর বড়লেখা টেলিফোন লাইন বিনষ্ট করে টেলিফোনের তার ইত্যাদি মুক্তিফৌজ নিজেদের দখলে নিয়ে এসেছে। -জয় বাংলা, ১৭ জুলাই, ১৯৭১

গেরিলা তৎপরাতা সম্প্রসারিত গত এক সম্পাহে সকল রণাঙ্গনে গেরিলা তৎপরতা সম্প্রসারিত ও তীব্রতর হইয়াছে । পাক হানাদার বাহিনীর বহু সৈন্য হতাহত হইয়াছে মুক্তিফৌজের প্রবল আঘাতে। কুষ্টিয়ার মেহেরপুর এলাকায় পাক বাহিনী রণাঙ্গণে মুক্তিফৌজ হানাদার দসু্য বাহিনীকে নাসত্মানাবুদ করিতেছে। বরিশাল জিলার মাধবপুর এলাকায় মুক্তিফৌজ একাধিক সংঘর্ষে বহু পাক সেনাকে হত্য করিয়াছে। -মুক্তিযুদ্ধ, ১৮ জুলাই। 米 米 米 米 来 米 কুমিলস্না রণাঙ্গনে ১৫ দিন ২৫০ পাকসেনা খতম দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের কুমিলস্না অঞ্চলে গত ১৪ দিনের মধ্যে মুক্তিফৌজের হাতে ২৫০ জনেরও বেশি পাকিসত্মানী সৈন্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন অফিসারও আছেন। প্রতিনিধি প্রেরিতখবরে জানা গেছে, গত ১৩ই জুলাই মুরাদনগর অঞ্চলে ৪টি নৌকা বোঝাই পাক-সৈন্য একটি নদী পার হচ্ছিল, এই নৌকাগুলিতে ১০৩ জনেরও বেশী পাক সেনা ছিল। এমন সময় মুক্তিফৌজ কমান্ডো তাদের ওপর গোলাবর্ষণ করে। ৬০ জন সঙ্গে সঙ্গে জলে ডুবে খতম হয়। যারা বাঁচে তারা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য একটি গ্রামের ওপর আকত্রণ চালায় মুক্তিফৌজ প্রতিরোধ করে। এখানে একজন মেজরসহ ১৮ জন পাক সেনা নিহত হয়। এয়াড়া ঐ দিনই রামচন্দ্রপুর খেয়াঘাটে মুক্তিফৌজের আক্রমণে ৩১ জন পাক সেনা নিহত ও অপর ৫০ জন আহত হয়। পাৰ্গক সৈন্যরা পিছু হটছে মুক্তিফৌজের ইসতাহার মুক্তিফৌজ ইস্তাহার মারফত জনগণকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইয়াহিয়ার সৈন্য সাত কোটি বাঙ্গালীকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।