পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

557 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল : চতুর্থ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ उाक्लङ बाग्लाङ दाश्लाहनादार्जेत्र शूद्राकालीन Tजान्छात्राज्ञिक जम्ब्रोडि ----- দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে একটি প্রচারপত্র পরিষদ ՏծԳծ ভারতে শরণার্থী বাংলাদেশী ভাইবোনদের প্রতি আবেদন আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক কঠিন ও দুরূহ মুহুর্তে আমরা আজ বাস করছি। স্বৈরাচারী পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর অমানুসিক গণহত্যা ও অত্যাচার থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়ে আমরা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছি আমাদেও প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট ভারতের মাটিতে। আমাদের এ বিপদ মুহুর্তে ভারত সরকার ও এদেশের জনসাধারণ আমাদের প্রতি যে সহানুভূতি ও সাহায্য প্রদান করেছেন তার তুলনা নেই। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এ অবস্থা সাময়িক। আমরা সোনার বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করে অতি শীঘ্ৰ জন্মভূমির মাটিতে আবার ফিরে যাব। সংগ্রাম এগিয়ে চলছে। আজকে আমাদেরকে আরও সক্রিয়ভাবে সে সংগ্রামে শরিক হতে হবে। সংগ্রামকে সফল করে দেশকে শত্রমুক্তি করার জন্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আমাদের পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করা উচিত। (১) যুদ্ধাবস্থায় আমাদের যে কোন রকম অসুবিধা সহ্য করার মত মনোবল প্রয়োজন। আমাদের স্বদেশবাসী লক্ষ লক্ষ লোক দেশের জন্যে প্রান দিয়েছে- লক্ষ লক্ষ লোক এখনও শত্রসৈন্যের কবলিত এলাকায় নির্যাতিত হচ্ছে। তাঁদের কথা স্মরণ করে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হব- দেশের খাতিরে যে কোন অসুবিধাকে আমরা তুচ্ছ মনে করবো। (২) ৩০ লক্ষ শরণার্থীও ভরণ-পোষণ ও সর্বপ্রকার সুখ-সুবিধার ব্যবস্থা এক ব্যাপক সমস্যা। শরণার্থীদের সহযোগীতা ও উপলব্ধি ছাড়া কোন সরকার বা বেসরকারী সংঘের পক্ষে সব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করা সম্ভব নয়। কাজেই আমাদেরকে সাধ্যমত ক্যাম্প এলাকায় রিলিফ ও অন্যান্য কাজে সাহায্য করতে হবে। (৩) পাকিস্তানী দুশমনরা আমাদের ভেতর সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিগত বিদ্বেষের বীজ ছড়াবার জন্যে পাকিস্তানী সরকার তাদের বর্তমান বেকায়দা অবস্থা থেকে উদ্ধার পাবার জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তারা বিশেষ করে চেষ্টা করছে, ভারতের মাটিতে একটা সাম্প্রদায়িকতা কলহ সৃষ্টি করতে। তাদেরই উস্কানিতে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় কিছুসংখ্যক সুবিধাবাদী মিরজাফর হিন্দু-সম্প্রদায়ের জিনিসপত্র লুটপাট করে। মনে রাখবেন, যেসব মুসলমান এসব কাজ করেছে-তারা শুধুমাত্র হিন্দুদের শক্ৰনয়, তারা আমাদের জাতীয় শত্রু। আমাদের মুক্তিবাহিনীর বীর সেনারা বহু অঞ্চলে এসব মীরজাফরী দসু্যদের শাস্তিদান করেছেন। আমাদের সবার এক পরিচয়। -হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-পৃষ্টান মিলে আমরা সবাই বাংলাদেশী। আমাদের লক্ষ্য একদেশকে শত্রর কবল থেকে উদ্ধার করা। (৪) সীমিত অর্থবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে নানারকম জটিলতার ভেতর দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনায় কাজ করে যেতে চলেছে। আমাদের সরকারের প্রতিটি কাজকে বিশেষ ধৈর্যসহকারে গ্রহণ অল্পবয়স্ক শিশুদের শিক্ষাদান ও মহিলাদের কার্যোপযোগী করে তোলার পরিকল্পনা কার্যকরী করা হবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগকে সর্বতোভাবে সহায়তা করতে সচেষ্ট হবো।