পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/১০১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

978 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড ভারতীয় বাহিনী খুলনা শহরের শিরমনি অঞ্চল মুক্ত করেছেন। বিচ্ছিন্ন পাকিস্তানী সৈন্যরা গত পাঁচ দিন ধরে এখানে জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সৈন্যরা খুলনার পথে ইতিমধ্যে নদী ও জলাভূমির বাধা অতিক্রম করে ফেলেছেন। মুখপাত্র বলেন, ভারতীয় সৈন্যরা যশোরের উত্তরে মধুমতী নদী পার হয়ে অপর পারে ঘাঁটি স্থাপন করেছেন। এখান থেকে ফরিদপুর শহর ও ঢাকার পথ উন্মুক্ত। শ্রীহট্ট খন্ডে পাকিস্তানি সৈন্যরা কোণঠাসা। এখানে বালুচ রেজিমেন্টের এক কোম্পানী পাক সৈন্য বুধবার ভারতীয় বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেছে। বুধবার ফরিদপুর খন্ডে কুমারখালি ঘাটে প্রচন্ড লড়াই শুরু হয়েছে। মধুমতী নদী পার হয়ে ভারতীয় বাহিনী এখানে দ্বিমুখী আক্রমণ চালিয়েছে। যশোর জেলার যোগাযোগ কেন্দ্র মাগুরা থেকেও ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর একটি সম্মলিত দল মধুমতী নদী পার হেয় গোয়ালদের দিকে এগিয়ে চলেছে। গোয়ালন্দ মুক্ত হয়ে গেলে যে সব পাক সৈন্য এখনও মরিয়া হয়ে জলপথে পালবার চেষ্টা করছে, তাদের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। যমুনা নদীর এপারে সিরাজগঞ্জ ও ওপারে জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের দিকেও ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সৈন্যরা অগ্রসরমান। এই অভিযানেরও উদ্দেশ্য ছত্রভঙ্গ পাকসেনাদের পালাবার পথ রোধ করা। দিনাজপুর, রংপুর ও সৈয়দপুরে পাক ফৌজরা এখনও বাধা দিচ্ছে। রামগড় মুক্ত দুদিন যুদ্ধের পর ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী গত ১০ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের মহকুমা শহর রামগড় মুক্ত করেছেন।