পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৮৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

815 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ৩২৭। শরণার্থীদের চিকিৎসায় সরকারী ও কালান্তর ১৩ জুন, ১৯৭১ বেসরকারী সংস্থার সমন্বয় দরকার শরণার্থীদের চিকিৎসায় সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সমন্বয় দরকারঃ চিকিৎসক সমিতির অভিমত (স্টাফ রিপোর্ট) কলকাতা ১২ জুন- বাংলাদেশ থেকে আগত শরনার্থীদের মধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত ত্রাণের কাজে অবিলম্বে সমন্বয় দরকার। বিশেষভাবে বেসরকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে ৮১৩ সরকারী কাজের সমন্বয়ের অভাবে ও বেসরকারী ংস্থাগুলির ওষুধপত্রের অভাবে শরণার্থীদের চিকিৎসা ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে আইএম-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক ডাঃ দেবেন ঘোষ এ কথা বলেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে সর্বশ্রী এ কে রায়, শিশির সেনগুপ্ত, নরেশ ব্যানাজী, মৃণাল নন্দী ও সমর রায় চৌধুরী প্রমুখ বেঙ্গল মেডিকেল রিলিফ কমিটির ডাক্তারগণ উপস্থিত ছিলেন। আই এস-এর কাজে সরকারী সহযোগিতা সম্পর্কে তারা বলেন- আইএসএ চেষ্টা করেও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার সাহায্য বা সহযোগিতা পায়নি। পক্ষান্তরে নদীয়া জেলা শাসকের অনুরোধে চিকিৎসক দল নদীয়ায় গিয়ে সহযোগিতার অভাবে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। গত ৮ জুন রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী আইএম-এর সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। আইএম-এ মনে করে রাজ্য সরকার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশ্নে আইএম-এর আগের প্রস্তাব মত কাজে সমন্বয় ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী বেসরকারী সংস্থার দায়িত্ব বন্টনের নীতি গ্রহন না করলে সহযোগিতা হতে পারে না। আইএমএ নিজেদের সদস্য ও শাখাগুলি ছাড়াও বহুসংখ্যক সংস্থার কাছ থেকে ছোট বড় দান পেয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতির (সভাপতি অজয় কুমার মুখাজী) কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সাহায্য পেয়েছে। ডাঃ ত্রিগুণা সেনের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটির সাহায্য করেছে। শ্রী জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি কোন সাহায্য করেছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, ংবাদপত্রের সাধারন আবেদন ছাড়া বিশেষভাবে কোন সাহায্য করিনি। ঐ সংস্থার কাছে সাহায্য করার জন্য আবেদন করা হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত করা হয়নি। ডাক্তারগণ কলেরার প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গে ডিপথেরিয়া আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মহামারী প্রতিরোধে সামরিক বাহিনীর সাহায্য গ্রহণ করার জন্যও তারা দাবি করেন।