পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆԳo বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খন্ড কি একত্রে বসে এ প্রশ্নের একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব আনতে পারি না? এই পারস্পরিক আলোচনার ফলেই উভয় সভায় প্রস্তাব পেশ করার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভারাপণ করা হয় যাতে এই প্রস্তাব কোন সংশোধন ও বিতর্ক ছাড়াই অবিসম্বাদিতভাবে উভয় সভায় গৃহীত হয়। এই প্রশ্নে আমরা একটি জাতীয় সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছি ভেবে আমি প্রসন্নতা রোধ করি। এটি স্বাভাবিক, ভিন্ন ভিন্ন দলের লোকেরা একত্রে সিদ্ধান্ত নিলে মিলেমিশে চলতে পারা যেত। এখন একক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর এই আওয়াজ উঠছে যে এরপর সামনে চলার চূড়ান্ত ক্ষমতা শুধুমাত্র সরকারী পক্ষের ওপর ন্যস্ত করা হোক, অন্যান্যরা এতে হাত না বাড়াক। সরকার পক্ষই শুধু নয়। সমস্ত সংসদের অনেক সদস্য এব্যাপারে চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য আগ্রহী আমি এটা বুঝি না। এমন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ করা হবে না। ৩১শে মার্চে আমরা যে প্রস্তাব নিয়েছি সে মোতাবেক সামনে অগ্রসর হতে অনেক দেরী হয়ে গেছে। সরকারদলীয় একজন সদস্য প্রস্তাবে এই ংশোধন এনেছিলেন যে , স্বীকৃতিদানের প্রশ্নটি সম্পূর্ণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়া হোক। বন্ধুবর শ্রী ব্রম্মানন্দ মহাশয় ভাষণ দানকালে বলেছেন, আমরা প্রস্তাব পাস করিয়ে নিয়েছি, স্বীকৃতি দেয়া হবে কি না এসব ব্যাপারে মীমাংসা সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়া হোক। SHRIBRAHMANANDAPANDA: No, no I did not say like that. SHRI SUNDAR SINGH BHANDARI: I would like you to look into the record. SHRI BRAHMANANDA PANDA: I said that recognition at appropriate moment should be left to the Government. SHRI SUNDAR SINGH BHABDARI: Recognition, or no recognition, that was the word you used. It is good that you take it back. শ্রী সুন্দর সিংহ ভাণ্ডারীঃ আপনি হয়ত ভুলে এই শব্দটি উল্লেখ করেছেন কিন্তু আপনি যা ভুলে বলেছেন সমগ্র দেশের মানুষের মনে আজ তাই আশঙ্কা উদ্রেক করছে। স্বীকৃতি কখন দেয়া হবে আজ এ চিন্তা মানুষের মনে তত বেশি নয় যতটা এই যে, স্বীকৃতি দেয়া হবে কিনা, যেমন জনৈক মাননীয় সদস্য তাঁর বক্তৃতায় খুব জোরের সাথেই বলেছেন যে, তাঁর সন্দেহ হচ্ছে সরকার এখন হয়ত পিছুটান দিতে যাচ্ছেন। এ কারণেই এই প্রশ্ন আজ দেশে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। এখন এ কথা ও বলা হচ্ছে যে, এই ইস্যুতে দেশ ভাগ করার প্রয়াস চলছে। এত কোন সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশ প্রশ্নে যে রাষ্ট্ৰীয় ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যা সবার সম্মিলিত প্রস্তাব ছিল সরকার যদি এর আলোকে অগ্রসর হতে কুষ্ঠিত হন বা পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করেন যার ফলে ওই প্রসঙ্গ শেষ হয়ে যায়, তাহলে সারা দেশ এর ওপর প্রস্তাব পাশ করে বসে থাকবে এবং অপেক্ষা করা দেশের জন্যও শোভনীয় হবে না। আমরা যদি বাংলাদেশের প্রশ্নে দেশের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই তাহলে সরকারকেও তার হঠকারিতা ত্যাগ করতে হবে, দেশের অভ্যন্তরীণ সবকিছু উপেক্ষা করে সরকার সমস্ত দেশের সমস্যা সমাধানের যে ঠিকা নিজের ওপর নিয়েছেন এটা ছাড়তে হবে ভারতের কল্যাণে কি আসবে বাংলাদেশের কল্যাণে কি আসবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে অধিকতর ওয়াকিফহাল আপনারা হতে পারেন কিন্তু অবশিষ্ট সকল মানুষ অন্ধকারে আছে, তারা দেশের কল্যান বুঝতেই সক্ষম নয়, সবকিছু উপলব্ধি আপনারাই করতে পারেন আমরা আপনাদের এ অধিকার মেনে নিতে প্রস্তুত নই। এটি একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র। এদেশের শাসনভার আজ যদি আপনাদের বৈধ উপায়ে অর্জিত হয়ে থাকে তবে তার অর্থ এই নয় যে, দেশের অন্য সব লোক এর কল্যান সাধন কিংবা এর নীতি নির্ধারণ নিজের চিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করার দায়িত্ব হারিয়ে ফেলেছে সকল দায়িত্ব নিজ নিজ সরকারের মনে করা হোক বা ব্যক্তিবিশেষের মনে করা হোক, কিংবা নিজের দলে মনে করা হোক না সে দলের দায়িত্ব ব্যক্তিবিশেষের ওপর- এ সকল দায়িত্ব আপনাদের ঘরের হতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রশ্নে আপনারা সকল দায়িত্ব নিজের ওপর নিয়ে এবং অন্যদের অন্ধকারে রেখে এদেশে ঐক্য বজায়