পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খণ্ড
289
শিরোনাম সূত্র তারিখ
রবীন্দ্র সংগীত বর্জনের বিরোধিতা বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলা বিভাগ
৩১ মার্চ, ১৯৬৭

রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্পর্কিত সিদ্ধান্তঃ

১৮ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি

 স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ২৩শে জুন ১৯৬৭ তারিখে মুদ্রিত একটি সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এত সরকারী মাধ্যম হতে রবীন্দ্র সংগীতের প্রচার হ্রাস ও বর্জনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আমরা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করি। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছে, তাঁর সঙ্গীত আমাদের অনুভূতিকে যে গভীরতা ও তীক্ষ্ণতা দান করেছে তা রবীন্দ্রনাথকে বাংলাভাষী পাকিস্তানীদের সাংস্কৃতিক সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছে। সরকারী নীতি নির্ধারণের সময় এই সত্যের গুরুত্বকে মর্যাদা দান করা অপরিহার্য।

(দৈনিক পাকিস্তান, ২৫শে জুন ১৯৬৭)

 ঐ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন ডঃ মুহম্মদ কুদরত-ই-খুদা, ডঃ কাজী মোতাহের হোসেন, বেগম সুফিয়া কামাল, শিল্পী জয়নুল আবেদীন, জনাব এম,এ,বারি, অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডঃ খান সরওয়ার মুরশিদ, কবি সিকান্দার আবু জাফর, অধ্যাপক, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম, ডঃ আহমদ শরীফ, কবি শামসুর রহমান, কবি হাসান হাফিজুর রহমান, কবি ফজল শাহাবুদ্দীন, ডঃ আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ডঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

 * ‘সংবাদ’ পত্রিকায় বিবৃতিটি শহীদুল্লাহ কায়সারের নাম যুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়।