পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

440 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ রেসকোর্সর সম্বর্ধনা সভার মুজিব কর্তৃক জনসংখ্যার দৈনিক পাকিস্তান ২৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব দাবী ঢাকার ইতিহাসে বৃহত্তম জনসভাঃ সংখ্যাসাম্য নয়-জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব চাই রেসকোর্সের গনসম্বর্ধনায় শেখ মুজিব (স্টাফ রিপোর্টার) গতকাল রবিবার রমনা রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষ লোকের এক বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, আমি ছাত্রদের ১১দফা শুধু সমৰ্থনই করি না এর জন্য আন্দোলন করে আমি পুনরায় কারাবরণ করতে রাজী আছি। .................... জনাব শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষনা করেন যে কোনমতেই তাঁর দল সংখ্যাসাম্য মেনে নেবে না। সংখ্যাসাম্য যারা মানবে পূর্ব পাকিস্তানে তাদের ঠাই নেই। ............................... সংখ্যাসাম্যের নামে পূর্ব পাকিস্তানকে ঠকান হয়েছে। তিনি সর্বস্তরে ও পর্যায়ে জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব দাবী করেন। ................................. সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ হতে রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত গণসম্বর্ধনায় শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দিচ্ছিলেন। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার শেষে মুক্তিক্তর পর গতকালই তিনি প্রথম জনসভায় ভাষণ দেন। এই গণসম্বর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জনাব তোফায়েল আহমদ। সভায় রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবর রহামন মামলায় অভিযুক্ত জনাব কে, এম,এস রহমান, সি,এস,পি, লিডিং সিম্যান জনাব সুলতানউদ্দিন, ষ্টয়ার্ড মুজিবর রহমান, জনাব এ, বি, খুরশীদ ও জনাব আলী রেজাসহ অন্যান্য অনেকে উপস্থিত ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, আমি রাওয়ালপিন্ডি যাব এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের পক্ষ হতে তাদের দাবী তুলে ধরব। দেশ আমরা কারুর কাছে বিকিয়ে দেইনি। আমার ৬ দফার সাথে আমার দল ও জনগণ আছে। ছাত্রদের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। আমি যদি এধেশের মুক্তি আনতে ও জনগণের দাবী আদায় করতে না পারি তবে আন্দোলন করে আবার কারাগারে যাব। আওয়ামী লীগ প্রধান শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অবহেলার উল্লেখ করে সকল ক্ষেত্রে জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব আদায়ের কথা বলেন। তিনি বলেন আমি সংখ্যা সাম্যমানি না। শেখ মুজিব বলেন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। বর্তমান শাসনতন্ত্র বাতিল করা হবে না সংশোধন করা হবে পালামেন্টই তা নির্ধারণ করবে।