পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চদশ খণ্ড).pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১০

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড

temporary assignments to Bangladesh scholars and secure the cooperation of India publishers to facilitate the publication of their manuscripts.

 The Committee is also sponsoring a special issue of Quest, the well know intellectual and cultural journal, to be cdited by Dr. A R Mullick and professor Syed Ali Ahsan.

 Scholars, Writers and intellectuals from Bangladesh are requested to contact Mr. Sushil Mukherjea at the Committee's office at p 542 Raja Basanta Roy Road, Calcutta 29.

sd/- A. B. Shah
Director of Progammes, India.

 এ সময় মিসেসী লী থ (Lee Thaw) নামক এক ভদ্রমহিলা কোলকাতায় আসেন এবং ওবেরয় গ্রাণ্ড্র হোটেল অবস্থান করেন। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক উদ্বাস্তু সমিতির (International Refugee Organisation) প্রতিনিধি। তিনি লোককদের জন্য কিছু সাহয্য এনেছিলেন। তার অর্থদানের পাত্র ছিল সৃষ্টিধর্মী লেখক, শিল্পী এবং সাংবাদিক। ৫-৭-৭১ তারিখ আমি মিসেস থ কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে লেখক এবং সাংবাদিকদের একটি তালিকা তাকে প্রদান করি। সে তালিকা অনুসারে যারা পূর্বের সাহায্য সংস্থা থেকে কিছু পাননি এবং সৃষ্টিশীল লেখক, শিল্পী এবং সাংবাদিক তাদের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ১১জন লেখক, শিল্পী এবং সাংবাদিককে ৫হাজার ৮শত টাকা দেয়া হয়েছিল এবং পরবর্তী পর্যায়ে ২২হাজার ৫শত টাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। যারা সাহায্য পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে শিল্পী কামরুল হাসান, জহীর রায়হান, অভিনেত্রী সুমিতা এবং আরো অনেক ছিলেন। তবে একটি কথা এখানে না বললে অন্যায় হবে তা হচ্ছে লেখক ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ প্রথমে সাহায্য নিয়েছিলেন কিন্তু পরে তার চেয়ে ও দুঃস্থ কোন লেখক এবং সাংবাদিকের আনুকূল্যে অর্থ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

 এ সময়ে আরেকটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা কোলকাতায় উপস্থিত হয়। উক্ত সংস্থা বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হোসেন আলীর সংগে যোগাযোগ করেন। এই সংস্থার নাম ছিল International Rescue Committee সংক্ষেপে I R.C। উক্ত প্রতিষ্ঠান মূলতঃ ইহুদীদের প্রতিষ্ঠান ছিল। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ইউরোপ থেকে যে সমস্ত ইহুদী পালিয়ে আমেরিকায় আশ্রয়ের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন, মূলতঃ তাদের সাহায্যের জন্য এ সংস্থাটি গড়ে ওঠে। আমাদের দুর্দশার সময় সংস্থাটি যখন কোলকাতায় আসে তখন এদের পশ্চাদভুমি সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা ছিল না। যাই হোক, জনাব হোসেন আলী এ সংস্থার সংগে ডঃ মল্লিকের যোগসূত্র ঘটিয়ে দেন এবং তিনি বাংলাদেশ বুদ্ধিজীবী সকলের সংগে পরামর্শ করে এই অর্থ বরাদ্দ করবার ব্যবস্থা করেন। এই অর্থ সাহায্য পাবার ফলে আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সকল প্রকার সংবাদ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আর্কাইভস নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সক্ষম হই। আর্কাইভস-এর পৃষ্ঠপোষক হয়েছিলেন ডঃ মল্লিক এবং আমি সভাপতি হয়েছিলাম। মোট ১৬ জন ব্যক্তি আর্কাইভস-এর কর্মপরিচালনায় নিযুক্ত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের ছাত্র এবং আমার সহকারী হিসাবে আর্কাইভস-এর প্রধান দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক আবু জাফর (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)। আর্কাইভস ভারতীয় এবং বিদেশী সংবাদপত্রে বাংলাদেশ সংক্রান্ত যে সমস্ত খবর প্রকাশিত হত তা সংগ্রহ করতো। এই সংগৃহীত তথ্যাদি নথিবদ্ধ করে একটি হওয়ার পর আমি বাংলাদেশ সরকারের আর্কইভস-এ দিয়ে দিয়েছি। আর্কাইভস এর পক্ষ থেকে একটি রেফারেন্স লাইব্রেরী সার্ভিস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্থের অভাব এ পরিকল্পনাটি কার্যকর হয়নি। ডঃ মযহারুল ইসলাম আই আর সি-র কাছ থেকে একটি অনুদান নিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত এবং বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত