পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চদশ খণ্ড).pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খণ্ড

 আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি (International Rescue Committee); জুন মাসে এই কামিটির পক্ষে অ্যাম্বেস্যাডার অ্যাঞ্জিয়ার বিডল ডিউক (Ambassador Angier Biddle duke), মর্টন হামবুর্গ (Morton Hamburg, General Counsel- IRC) মিসেস লী থ (Mrs. Lee Thaw - Director, IRC), ড. দানিয়েল এল, ওয়ানডার (Dr. Daniel L. Wadner— prof. of Surgery, Albert Einst College of Medicine N.T) এবং মি: টমাস ডব্লিউ ফিশস (Mr. Thomas w. Phipps an author) আমাদের সাথে আলোচনায় মিলিত হন। ওজঈ আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পে বিশেষ করে ক্যাম্প স্কুল প্রকল্পে সহায়তা দানে সম্মত হয়।

 জাপানে গঠিত ‘বাংলাদেশ সলিডরিটি ফ্রণ্ট- এর সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক সেৎসুরে সুরুসিমা (Set sure Tsurushima) ‘জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেণ্ডশীপ অ্যাসোসিয়েশন’-এর কর্যকরী সংসদের একজন সদস্য মিঃ টি, সশিকে (T.susuki) এবং মিঃ তেসিকা (Temisuka- a TV/Cameraman) আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত করান হয়।

 ইতিহাসবিদ অধ্যাপক এ এল বাসাম (অ্যাসোসিয়েশন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) জুনমাসের দিকে আমাদের সাথে আলোচনায় মিলিত হন এবং আমাদের সমস্যা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করান হয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

 ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড ফেডারেলিষ্ট অ্যসোসিয়েশন- এর সভাপতি অধ্যাপক ন্যুড নেইলসন (Knud Neilson) এবং WSCE, (Geneva)- এর মিঃ ঝ্যাক ল্যাকশিক (Jack Laksirch) সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আমাদের সাথে এক আলোচনায় মিলিত হন। তাঁদেরকে কয়েকটি শরণার্থী শিবির ঘুরিয়ে দেখান হয়।

 স্ক্যাণ্ডেনেভীয় দেশগুলির কয়েকজন সাংবাদিক এস এ নেলসন (ষ্টকহোম) এ এম স্কিপার (A.M. Skipper Denmark) ভিএসবি বলকার্ট (V.S. B Balkert - Denmark), এম আই ওয়জহা (M.I. Ojha-Sweden) আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চান। তাঁরা মুক্তাঞ্চল পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁদের একাত্মতা প্রকাশ করেন।

 মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় গঠিত Friends of the Bangladesh Movement- এর পক্ষ থেকে মিসেস এভেলিন চৈকিন (Evelyn Chaitkin) কোলকাতায় এলে তাঁকে আমাদের বিভিন্ন ক্যাম্প স্কুল ঘুরিয়ে দেখান হয়। তিনি এই প্রকল্পে আমাদের সহোযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

 সুদীর্ঘ নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে বহু সহায়ক সংগঠন আমাদের সাথে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেতাদের সকলের নাম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়।

 স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও তার ভুমিকার কথা আজ সবারই জানা। শরণার্থী প্রায় সকল শিল্পীই এই কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকরা ও এই কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন।

 অবরুদ্ধ বাংলাদেশের অভ্যন্তরেঃ নানা অসুবিধার মধ্যে থেকে এবং বিপদকে মাথায় নিয়ে বুদ্ধিজীবিরা নানাভাবে দেশের অভ্যন্তরেও প্রতিরোধ সংগ্রামে অশং নিয়েছেন। বিভিন্ন গেরিলা ইউনিটের সহায়তায় আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে সচেষ্ট করেছি ও তথ্য সংগ্রহ করি।