পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

232 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড আজ আমরা সেই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধে ব্যাপৃত। ইতিহাসে অতুলনীয় ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন উষার স্বর্ণদ্বার যেদিন উদঘাটিত হবে, সেদিনই ১৭ই সেপ্টম্বরের আন্দোলন সার্থকতায় উপনীত হবে। (ডক্টর আনিসুজ্জামান রচিত) ইয়াহিয়া জবাব দাও প্রথম সওয়াল ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ আগা মোহাম্মদ এহিয়া খান, আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই। আমার সওয়াল খুব ছোট। ইচ্ছে করলে এক কথায় জবাব দিতে পারেন। আপনাকে জিজ্ঞেস করি, ১৯৭০ সনে আপনি ইলেকশন কেন দিয়েছিলেন? একদম সোজা জবাব দেবেন। সাফ, সাফ। তালিবালি করবেন না। কারণ, আপনার খাসলৎ আমাদের জানা আছে। খালি আপনার নয়, পাঞ্জাবে যত ইসলামের চ্যাম্পিয়ান আছে, সকলের খাসলৎ আমাদের জানা। সাংবাদিক হিসেবে আপনার সঙ্গে সফর করবার বদনসীব বা খোশ-নসীব আমার হয়েছে। বেলা এগারোটা না বাজতে আপনার ছাতি শুকিয়ে যায়, আপনার বড় পেয়াস লাগে। আপনার তেষ্টা আবার সাধারণ পানিতে যায় না। পেগের পর পেগ হুইস্কি জরুরৎ হয়।তাই বলছি সাফ-সাফ জবাব দেবেন। বাংলাদেশের মানুষের চোখে অনেক ধুলো দিয়েছেন, আর তা চেষ্টা করবেন না। আসুন, আসুন, আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, এবার ঢুক করে জবাবটা বলে ফেলুন, আপনি নির্বাচন বা ইলেকশান কেন দিয়েছিলেন? এখন মনে হচ্ছে আপনি নির্বাচনের মানে জানতেন না। ইলেকশান মানে জনগণের রায়। তখন বাংলার মানুষ কী চেয়েছিল? দেশের সাচ্চা জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ফিরে আসুক। ইলেকশানের ফল বেরুনোর পরই আপনি বললেন, শেখ মুজিব পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং আপনার যে জনগণের রায়কে সম্মান দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, তা বোঝা যায়। আর কথাটা আপনি মুখ দিয়ে বলেননি আর কোন জায়গা দিয়ে বাতাসে বের করেছিলেন? তার প্রমাণ তখন ছিল না। আপনি মুখই ব্যবহার করেছিলেন। তবে ওয়াদার খেলাফ করলেন কেন আগা মোহাম্মদ এহিয়া খান? তার ফলাফল কি আপনি জানেন না? জেগে ঘুমাচ্ছেন? আপনার নাম নারীঘাতী, শিশুঘাতী- অন্ধকারে আগুন-লাগানো চণ্ডাল নামে দুনিয়ায় পরিচিত যারা বেঁচে আছে, তারা নিজের বাপ-দাদার বাস্তভিটা থেকে খারিজ। আর কোথাও মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজে হয়রান। তাদের বুকফাটা আহাজারী, দুর্দশা-সব আপনার ওয়াদা খেলাফের ফল। অথচ নির্বাচন বা ইলেকশানের পর কী আপনি বগল বাজাননি? নিজের ঈমানদারী দুনিয়ার কাছে জানাতে বুক টান টান করে ফুলিয়ে দাঁড়াননি? আপনার বোধ হয় খেয়াল নেই? একটু শলা দিয়ে উস্কে দিচ্ছি। SI•FIH 25TH FEICTH fö-FI RIIGI GEË GETICA-Election in the world’s third largest democracy- “দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজ্যে নির্বাচন” এর পাতায় পাতায় কী নিজের সাফাই গাননি? বইটা এবার