পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- *。** 358 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড তারপর- তারপর নবাবজাদা? ঃঃ শুধু তাই নয়, আমাদের বেলুচ সৈন্যদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এমন কি আমাদের সৈন্যদলের কিছু অধিনায়ক তলে তলে আমাদের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই তারা সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখেছেন খাঁ সাহেব। তখন আমরা নিজেদের মধ্যে কিত কিত খেলা শুরু করবো। আগেই বলেছি কাকের মাংস কাকে খায়। তাইতো বলছি আলমপনা, আপনাদের মাথার ওপর শকুন উড়ে বেড়াচ্ছে। মাথা সাবধান! ঃ এদিকে ভারত আমাদের সামনে বিরাট মহীরুহ। যুদ্ধের হুমকি দিয়েও ফয়দা হ’ল না। এই

  1. 3
  2. 3

জাতশত্রকে খতম করতে না পারলেভারত অস্ত্র শাণিয়ে আপনাদের স্বাগত জানাবার জন্যে বসে আছে। মার আমরা খাবো ঠিকইতবে তারা মলম লাগিয়ে দেবে বলেছে। অসহ্য- অসহ্য! সিপাহসালার, অবিলম্বে ভারত সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করুন। যুদ্ধের দামামা বাজান। যুদ্ধ-যুদ্ধ চাই। হয় উত্থান- না হয় পতন হয় ইতিহাসের মানচিত্রে আমরা টিকে থাকবো- না হয় মুছে যাবো। এ ছাড়া অন্য উপায় নেই। ঃঃ কিন্তু জাঁহাপনা এর মধ্যে কোন কিন্তু নেই। বাঁচা কিম্বা মরা, দুটোর একটা বেছে নিন। মাশরেকী বাঙ্গালকে কবজায় আনতে হলে, ভারত আক্রমণ ছাড়া অন্য উপায় আর নেই সিপাহসালার। এ কি আপনার মুখটা অমন ছাইয়ের মতো, আমন শুকনো-শুকনো দেখাচ্ছে কেন! যান, মুখে পানির ছিটে দিয়ে বিছমিল্লাহ বলে অগ্রসর হোন। আর নবাবজাদা, আপনিও বিদায় গ্রহণ করুন। ঃ খোদা হাফেজ। ঃ খোদা হাফেজ। ঃ উফ! দুই রাহু বিদায় হল। আলমপনা, আপনি একটা অষ্টধাতুর মাদুলী গলায় বাঁধুন। যেভাবে শনির দল আপনাকে ঘিরে ধেরেছেদুর্মুখ! তোমার ওসব ন্যাকামি আমার ভালো লাগছে না। যক্ষ্মার বীজাণুর মতো কে যেন সর্বদা আমার বুকেরভেতরটা কুরে কুরে খাচ্ছে। সাড়া শরীরে যেন শক্তি পাচ্ছি না। একটা দাহ, বুঝলে দুর্মুখ, কিসের যেন একটা দাহ সর্বদা পুড়িয়ে মারছে। জুলে যায়- আমার সর্বশরীর জুলে যায়। কিসের দাহ জানেন না? শিশুহত্যা, নারীহত্যার গুণাহ। ওদের অভিশাপের দাহ আপনাকে দগ্ধ করছে। এর কোন দাওয়াই নেই জনাব। এর হাত থেকে রেহাই নেই। শিশুহত্যা-নারীহত্যা হ্যাঁ- মানুষের বাচ্চাগুলোকে আমি খুন করেছি- নারীর ইজ্জত লুটেছি- হত্যা করেছি। আমি খুনি-আমি জল্লাদ- আমি বেঈমান। দেখেও নাও- দেখে যাও বিশ্বাবাসী। আমি নিরীহ বাঙ্গালীর লহুতে রক্তস্নান করেছি- বাঙালীদের লাখো লাশের ওপর বসে আমি মসনদী করছি। আমি বিশ্বের বিস্মরণ- আমি মহাত্রাস- আমি জল্লাদ। হ্যাঁ হ্যাঁ আমি জল্লাদ