পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজলীর মা ?ঃ ঠিকই বলেছ জমির ভাই, রুস্তম কিন্তু ঠিকই ধরেছে। ঃঃ রুস্তমেরও ধ্যান-ধারণা আছে। আজ বাংলার প্রতিটি মানুষ সচেতন, তারা প্রত্যেকে নিজের ছোটমিয়া জমির ভাই {} কাজলীর মা ? কাজলীর মা ? 384 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড দেশকে শত্রর কবলমুক্ত করার জন্য বদ্ধপরিকর। প্রাণ যায় তবু স্বীকার, স্বাধীনতা চাই-ই। আমরা দখলদার বাহিনীকে তাড়াবোই। প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে ছেলেরা ট্রেনিং নিচ্ছে, মুক্তিবাহিনীতে ভর্তি হচ্ছে। ঃঃ ট্রেনিং আমি নিচ্ছি, দুশমনের বিষদাঁত ভাঙ্গতেই হবে। এমন শিক্ষা দিবো জীবনে যেন আর কোনদিন থেমে গেলে কেন, বলো। রুস্তম বলতে চাচ্ছে, দুশমন যেন আর কোনদিন বাংলার মুখে না হয়, বা বাংলার নামও মুখে না আনে। তাই না রুস্তম? ঃঃ ঠিক বলেছ ছোটমিয়া। শক্ত কথা তো একটু আটকে যায়। তবে শিখে নিয়েছি। তাই না ছোটমিয়া? ঠিকই, মানুষ ঠেকতে ঠেকতেই শেখে। এই রাজাকাররা শিখছে। মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের হাতে এমনই মার খাচ্ছে যে বদবুদ্ধি সব কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। যাবে না, অন্যায় কদিন থাকবে বলো। দুদিন হয়তো মানুষকে কষ্ট দেবে, তারপর যেতেই হবে। ঃঃ ঠিকই, অন্যায় বেশীদিন থাকতে পারে না। একদিন তাকে দূর হতেই হবে। ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হবেই। এসেছে, মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কেন, তিড়িং বিড়িং ফুরালো? হাতে তো রাইফেল নিয়ে গা-গেরামের হাসটা মুগরটা ছাগলটা খুব জুত করে খাওয়া হচ্ছিল, কেন সে শখ মিটে গেল? ঃঃ শখ মিটবে না? মুক্তিবাহিনীর মার জানা আছে না-এমনই মার দেয়, ল্যাজ তুলে চৌ-চোঁ দৌড়। ঃঃ মুক্তিবাহিনীর ভয়ে খানসেনাদের রাতের ঘুম দিনের আরাম হারাম হয়ে গেছে। ঃঃ কথাটা একেবারে সত্য বলেছ রুস্তম। আর তার জন্যেই তো ওরা নিজেরো কোথাও যাওয়ার আগে রাজাকারদের পাঠিয়ে দেয়। হালচাল দেখে তারপর এগোয়। ঃ কথায় আছে না, সাবধানের মার নেই। ঃঃ কথাটা ঠিকই, কিন্তু এক করেও দখলদার পাকবাহিনীর কুল রক্ষা হচ্ছে না। ওরা ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের ইচ্ছাকে, সমগ্র আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেবে। কিন্তু