পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

427 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড সুবিধাজনক মনে করেন । এভাবে তৈরি কোন আদেশ অন্য কোন রকম ব্যবস্থা না থাকলে তা ‘প্রারম্ভিক দিন’ থেকে কার্যকরী হবে কিংবা কার্যকরী বলে মনে করা হবে । (ঘ) চলতি কোন আইন বলবৎ করার জন্যে প্রয়োজনীয় বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষ (গ) উপ-অনুচ্ছেদের অধীনে তৈরী কোন আদেশ দ্বারা এধরনের আইনের সত্যিকার কোন উপযোগীকরণ না হওয়া সত্ত্বেও এই ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যে আনার জন্যে এ ধরনের (ঙ) এই নিবন্ধে “চলতি আইন” মানে আইন, অর্ডিন্যান্স, আদেশ, নিয়ম, বিধি, উপবিধি, বিজ্ঞপ্তি বা অন্য কোন আইনগত ব্যবস্থা বা প্রারম্ভিক দিনের অব্যবহিত আগে পাকিস্তান বা পাকিস্তানের কোন অংশে আইনের শক্তি ছিল বা অঞ্চল বহির্ভূত বৈধতা ছিল । ৫। (ক) প্রারম্ভিক দিনের অব্যবহিত আগে কোন সামরিক আদালত কিংবা সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালতে অমীমাংসিত প্রত্যেকটি মামলা প্রারম্ভিক দিনে ফৌজদারী আদালতে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে এবং এই আদালত সাধারণ আইন অনুযায়ী অপরাধের বিচার করতে পারবেন। (খ) উপ-অনুচ্ছেদ (ক) এর অধীনে কোন ফৌজদারী আদালতে স্থানান্তরিত কোন মামলার বেলায় এধরনের কোন মামলার বিচারে প্রযোজ্য পদ্ধতি অনুসারে সাধারণ আইনের ব্যবস্থা অনুযায়ী বিচার করা হবে। (গ) প্রারম্ভিক দিনের অব্যবহিত আগে কোন সামরিক আদালত কর্তৃক মীমাংসা করা হয়েছে ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে অথচ অনুমোদন বাকী রয়েছে এমন সব মামলা এবং এই দিন পর্যন্ত বাকী রয়েছে পর্যালোচনা আবেদন ও দরখাস্ত যদি পশ্চিম পাকিস্তানের রাজ্যগুলোর সংশ্লিষ্ট হয় তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান এবং বাংলাদেশ রাজ্যের সংশ্লিষ্ট হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের জি,ও সি, প্রারম্ভিক দিনের পরে সেগুলো দেখবেন এবং মীমাংসা করবেন। (ঘ) যদি কোন ব্যক্তি সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের কোন রায় বা দণ্ডে যদি মনে করেন যে, তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে তবে তিনি এধরনের রায় বা দণ্ডের বিরুদ্ধে কোন আবেদনপত্র পেশ না করে থাকলে তা পশ্চিম পাকিস্তানের রাজ্যগুলোর সংশ্লিষ্ট হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের জি, ও, সির কাছে পাঠানো যেতে পারে। এধরনের কোন আবেদনের বেলায় উল্লেখিত কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে কোন রকম শর্তসহ কিংবা শর্ত ছাড়া কোন দণ্ডের ক্ষমা মঞ্জুর কিংবা মার্জনা, হাস, লঘুদণ্ডদান কিংবা দণ্ড বাতিল করে দিতে পারে। (ঙ) এই ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা সাপেক্ষে সামরিক আইন মেয়াদের সময় কোন সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের দেয়া কোন দণ্ড আইনগতভাবে দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হবে এবং তাদের দণ্ড মেয়াদ অনুযায়ী কার্যকরী হতে থাকবে । (চ) সামরিক আইন চলাকালে কোন সামরিক কর্তৃপক্ষের দেয়া কারাদণ্ড যদি সামরিক আইন মেয়াদে কার্যকরী করা না হয়ে থাকে তবে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে যে জেলায় পাওয়া যাবে সে জেলার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের পরওয়ানায় তা কার্যকরী করা যেতে পারে। (ছ) সামরিক আইন চলাকালে কোন সারিক আইন কর্তৃপক্ষের দেয়া জরিমানা দণ্ড যদি কার্যকরী না করা হয়ে থাকে তবে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে জেলায় থাকে সে জেলার জেলা-ম্যাজিষ্ট্রেট তা কার্যকরী করতে পারেন, যেন এটা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী বিধির (১৮৯৮ সালের ৫ নম্বর আইন) অধীনে তারই দেয়া জরিমানা দণ্ড । তবে উল্লেখিত আইনের ২৯ নম্বর পরিচ্ছেদের ব্যবস্থাবলী এধরনের কোন দণ্ডের বেলায় প্রযোজ্য হবে না ।