পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেলা 440 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড তারিখ ও এলাকা ৩০শে মার্চ-১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ কোঁটচাঁদপুর। ৩০শে মার্চ, ১৯৭১ তাফসিডাঙ্গা । ৩০শে মার্চ-১০ইএপ্রিল, ১৯৭১ নড়াইল। ২৫শে মার্চ-৪ঠা এপ্রিল,১৯৭১, ঝিনাইদহ মহকুমা। ২৮-২৯শে মার্চ, ১৯৭১ খুলনা শহর। ক্রিসেন্ট জুট মিলস খালিশপুর ও ষ্টার জুট মিলস, চান্দনিমহল। ২৮-২৯মার্চ,১৯৭১ পিপলস জুট মিলস, খালিশপুর খুলনা। ২৮-২৯শে মার্চ ১৯৭১ নিউ কলোনী, খালিশপুর, খুলনা। ঘটনা বেপরোয়ারা হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগ চলতে থাকে। (প্রায় ৪শ লোক নিহত হয় ও ৫শ জন আহত হয়। সাহায্য শিবিরে অবস্থানরত লোকের সংখ্যা হচ্ছে ৫৫।) আগে থেকেই চিহ্নিত করা কিছুসংখ্যক বাড়ীঘর সং পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা আক্রমণ করে। তারা পুরুষ ও বৃদ্ধা নারীদের হত্যা করে এবং যুবতী মেয়েদের ধরে নিয়ে যায় । (প্রায় ২শ লোক নিহত হয়। সাহায্য শিবিরে যায় ৭২ জন। ) এখানে প্রধানতঃ পাঠানদের উপর নির্যাতন করা হয়। হত্যা করা হয়। মেয়ে ও শিশুসহ ৬০ থেকে ৭০ জন পাঠানকে হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবকগণ কিছুসংখ্যক বাড়ীঘর লুট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। জানও মালের প্রচুর ক্ষতি হয় । ২৫০ জনেরও বেশী লোক নিহত ও ৫০ জন নিখোঁজ হয় । ১০ জন হাসপাতালে যায়। খুলনায় আওয়ামী লীগের আধা-সামরিক শিক্ষা শিবির গঠন করা হয়। তথাকথিত পশ্চিম পাকিস্তানী দালালদের বিরুদ্ধে সুসংবদ্ধ হত্যা ও অগ্নিকাণ্ড চলতে থাকে। ঘরবাড়ী ংস করা হয় এবং ব্যাপকভাবে হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে । গলা কেটে ফেলার আগে হতভাগ্য ব্যক্তিদের উৎপীড়ন করা হতো। নিরপরাধ নারী ও শিশুদের রাস্তায় টেনে এনে হত্যা করা হয়। যারা প্রাণের ভয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে হয়। তারপর তাদের পেট চিরে আবার নদীতে ফেলে দেয়া হয়। তাদের রক্তে নদীর পানি লাল হয়েছিল। মিল সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছিলো। কিছুসংখ্যক অফিসার ‘মুক্তিপণ দিয়ে বেঁচে যান। (হতাহতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার) ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস, আনসার এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা বয়সের প্রতি কোন প্রতি লক্ষ্য না রেখে উচ্ছংখল হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়। (৪শ ৬৭ জন নিহত হয় ) প্রায় ১০ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী কলোনী ঘেরাও করে ফেলে।বিদ্রোহী পুলিশরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সমানে ৬ ঘন্টারও বেশী গোলাগুলি চলে। (প্রায় ৩শ লোক নিহত হয়)