পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

661 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড সকল সদস্যের নাম ঘোষণা করিতে হইবে। ক্রমে অবশিষ্ট সদস্যদের নাম অনুমোদনের জন্য পাঠানো যাইতে পারে, যদি এক সাথে ১৫টি নাম পাওয়া না যায়। (গ) প্রত্যেক বিষয়ে সুবিচার করিতে হইবে এবং রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ সরাসরি ও সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হইলে কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে নিরর্থক হয়রানী করা যাইবে না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে কোনো রাজনৈতিক দলভুক্তই হউক না কেন। (ঘ) কৃষি বিষয়ক সরকারী সংস্থা এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা স্বার্থের মধ্যে যোগযোগ রক্ষা করা। (ঙ) প্রয়োজনবোধে আঞ্চলিক কৃষি শান্তি কমিটি গঠন করা যাইতে পারে। এ রূপ কমিটিতে ৫ জন সদস্য এবং একজন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করিবেন, কৃষি কাজ করেন না এমন কোনো ব্যক্তি ইহার সদস্য হইতে পারিবেন না। (চ) কেবলমাত্র প্রয়োজনবোধে, প্রাথমিক সমবায় সমিতির উপর ভিত্তি করিয়া প্রাথমিক কৃষি শান্তি কমিটি গঠন করা যাইতে পারে। এ রূপ কমিটি কেবল মাত্র সেখানেই করা যাইবে যেখানে সমবায় ঋণ আদায় ও ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের উৎপাদিত ফসল ও সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা উদ্ভূত নয়। (ছ) বিগত গোলযোগের সময় যে সকল বেসরকারী কৃষি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পদ শূণ্য হয়েছে তদস্থানে নতুন কর্মকর্তার নাম প্রস্তাব করা যাহাতে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান অধিক খাদ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্য কাজ করিয়া যাইতে পারে। (জ) আপনার শান্তি কমিটির সভা সপ্তাহে একবার অনুষ্ঠিত করা ও থানা কৃষি শান্তি কমিটির পাক্ষিক সভায় যোগদান করা যাইতে পারে। ২। কার্যনির্বাহের দায়িত্বসমূহ (ক) পাকিস্তানের বিশেষত পূর্ব পাকিস্তনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ চাষী সাধারণের নিরাপত্তা সম্পর্কে তাদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি করা। (খ) আত্মগোপনকারী সমাজ বিরোধী ব্যক্তিদের সম্পর্কে চাষীদিগকে সতর্ক করিয়া দেওয়া যাহাতে ঐ সকল ব্যক্তি দ্বারা কোন দুষ্কর্ম সাধিত হইতে না পারে। (গ) চাষীদিগের মধ্যে বিশ্বাস আনয়ন করা যে তাহদের উৎপাদিত ফসলাদি ন্যায্য মূল্য পাইবে এবং স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পর্যাপ্তভাবে তাহাদের প্রয়োজন মিটানো হইবে। (ঘ) সকল কৃষি সমবায় সমিতির ও অন্যান্য কৃষি সংক্রান্ত বিষয়সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা এবং (ঙ) সরকারী কর্মচারী সহ যে কোন মহল হইতে কোন প্রকার অন্যায় হুমকি বা ক্ষতিকর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কৃষি প্রতিষ্ঠান এবং চাষীদেরকে সাহায্য করা। (চ) সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রদত্ত সরকারী ঋণ আদায়ের ব্যাপারে সমবায় সমিতিকে সাহায্য করা। (ছ) কর্জ ও খাজনা ইত্যাদি আদায়কারী সংস্থাকে বিগত গোলযোগের সময় নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের সমবায় সমিতিতে দেয় টাকা আদায়ের ব্যাপারে অবহিত করা। (জ) এলাকায় পরিত্যক্ত জমাজমি ও অন্যান্য সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়করূপে কাজ করার জন্য বর্তমান প্রাথমিক সমিতি সমূহকে সংগঠন করা এবং প্রয়োজনবোধে নতুন কৃষি সমবায় সমিতির সাহায্য গ্রহণ করা।