পাতা:বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪.pdf/১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১

বাংলাদেশ        গেজেট
 অতিরিক্ত সংখ্যা
 কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত



 সোমবার, এপ্রিল ৪, ২০১৪




গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ
অপারেশন-২ শাখা

প্রজ্ঞাপন

তারিখ, ২৪ মার্চ ২০১৪

সাদামাটি উত্তোলন ও বিপণন নির্দেশিকা, ২০১৪

নং ২৮.০০.০০০০.০১৮.৩৫.০২১.১০-৯৩— আধুনিক জীবনযাত্রার প্রয়োজনের নিরীখে সাদামাটি একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। নানাবিধ তৈজসপত্র, সিরামিক সামগ্রী, টাইলস ইত্যাদি ছাড়াও ইনসুলেটর, রিফ্যাক্টরি, ঔষধ, কাঁচ ও কাগজ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সাদামাটিতে সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন, টিটেনিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি রাসায়নিক উপাদান বিদ্যমান। মনিকতাত্ত্বিক (Mineralogical) দিক দিয়ে কেওলিনাইট (kaolinite) সাদামাটির মূল মনিক। প্রযুক্তির দ্রুত রূপান্তর ও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এর আর্থিক ও ব্যবহারিক উপযোগিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পাহাড় এবং পাহাড়ের পাদদেশে পাললিক শিলাস্তরে (Sedimentary Rock) এ সাদামাটি বিদ্যমান। এ সম্পদে সীমিত মজুদের কারণে এর উত্তোলন ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

২। মজুদ নিরূপণঃ বাংলাদেশে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় সাদামাটির মজুদ রয়েছে। সাদামাটি অন্যান্য খনিজ সম্পদের মতই অ-নবায়নযোগ্য সম্পদ। তাই এ সম্পদের পরিবেশ বান্ধব সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য প্রতিটি মজুদস্থলে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত

করা অত্যাবশ্যক। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সাদামাটির মজুদস্থল ও মজুদের পরিমাণ সম্বন্ধে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যাবলী সংগ্রহ ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর হালনাগাদ করার ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন। এ কাজের মূল দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। জিএসবি প্রতি বছর জরিপ


(১২৫৯৯)
মূল্যঃ টাকা ১২.০০