পাতা:বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪.pdf/২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২৬০০
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪

কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে সাদামাটির মজুদের পরিমাণ ও গুণগতমান হালনাগাদ করে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এ কাজ সম্পাদনে প্রয়োজনবোধে অন্যান্য বিশেষায়িত সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সম্ভাব্যক্ষেত্রে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান/কোম্পানিসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবে।

৩। শ্রেণী বিন্যাস: ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণ এবং ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সাদামাটি-কে নিম্নোক্ত ০২ (দুই) টি শ্রেণীতে (Grade) ভাগ করা যেতে পারেঃ

শ্রেণী/গ্রেড ভৌত গুণাগুণ রাসায়নিক গুণাগুণ ব্যবহার
গ্রেড-এ সাদা বর্ণের বিশুদ্ধ কেওলিন ক্লে যাতে সিণ্ট ও বালির পরিমাণ খুব কম। প্লাস্টিসিটি সূচক (Index) ৩৫% এর উপরে। এলুমিনা (Al2O3) ৩০% এর উপরে।
আয়রন (Fe2O3) ১% এর নীচে।
সিরামিক শিল্প, উন্নতমানের তৈজসপত্র (Table wear), রাবার শিল্প, প্লাস্টিক শিল্প, ও কাগজ শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
গ্রেড-বি হালকা ধূসর, বাদামী ও গোলাপী বর্ণের কেওলিন ক্লে যাতে অন্যান্য ক্লে মণিক ইলাইট, মণ্টমোরিলোনাইট ইত্যাদি থাকে এবং সিণ্ট ও বালির পরিমাণ বেশী থাকে। প্লাস্টিসিটি সূচক (Index) ৩৫% এর মধ্যে। এলুমিনা (Al2O3) ২০-৩০%।
আয়রন (Fe2O3) ১%-৩% এর নীচে।
টাইলস, ফায়ার ব্রিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইনসুলেটর ও সেনেটারিওয়্যান তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এ শ্রেণীবিন্যাস বর্তমানে প্রাপ্ত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে নিরূপিত। সময়ের প্রয়োজনে নতুন প্রাপ্ত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে পুনঃবিভাজন করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। জিএসবি বিভিন্ন জরিপ ও ভূ-বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে সাদামাটি শ্রেণীবিন্যাস করে এ মূল্যবান সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহারের নিমিত্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলবে। সাদামাটি কোয়ারী ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে এ ধরণের হালনাগাদ শ্রেণীকরণ তথ্যাবলীর সাহায্য গ্রহণ করা হবে।

৪। মনিট রিং: ইজারাগ্রহীতা ইজারাচুক্তির শর্ত, সাদামাটি উত্তোলন ও বিপণন নির্দেশিকা, ২০১৩ এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ যথাযথভাবে অনুসরণ করে সাদামাটির উত্তোলন ও অপসারণ করছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-কে আহ্বায়ক করে স্থানীয় প্রশাসন, জিএসবি, বিএমডি, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ বিভাগ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিজিবি‘র প্রতিনিধির সমন্বয়ে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ একটি কমিটি গঠন পূর্বক প্রজ্ঞাপন করবে।

৫। আহরণ: সাদামাটি আহরণের জন্য ০২ (দুই) ধরণের পদ্ধতি বিদ্যমান-কোয়ারী পদ্ধতি ও উন্মুক্ত খনি পদ্ধতি। সাদামাটির মজুদস্থল, মজুদ, গ্রেড ও সম্ভাব্য ব্যবহারের উপর সাদামাটির আহরণ পদ্ধতি নির্ভর করে। সাদামাটি আহরণের পদ্ধতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিএমডি জিএসবি‘র পরামর্শ গ্রহণ করবে। সাদামাটির উত্তোলন ও বিপণন নির্দেশিকা, ২০১৩ শুধুমাত্র কোয়ারী পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং উন্মুক্ত খনি পদ্ধতিতে সাদামাটি উত্তোলনের জন্য খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী খনি ইজারা প্রক্রিয়া অনুসৃত হবে।