পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ SS এবং নিকটবৰ্ত্তা ফুলিয়া গ্রামে গঙ্গাতীরে একট “গোফ" বা মৃত্তিকা গাত্রে নিৰ্ম্মিত টরের মধ্যে ভজন সাধন করতে থাকেন। মুসলমান হইয়া তিনি হিন্দুধর্মের অনুষ্ঠান করায় কাজীর অভিযোগ অনুসারে মুলুকপাত বা প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্ত তাহাকে লোকজন দয়া ধরিয়া লইয়া যান এবং বহু যুক্তিতর্কের দ্বারাও র্তাহাকে স্বমতে আনিতে সমর্থ না হওয়ায় ক্রুদ্ধ হইয়া তাহাকে একে একে বাইশ বাজারে লষ্টয়া গিয়া বেত্ৰাঘাত করিবার আদেশ দেন। সাধারণতঃ দুই তিন বাজারে মার খাইলেই লোকের জীবনান্ত হইত, কিন্তু ভক্ত শিরোমণি হরিদাস বাইশ বাজারে অতি গুরুতরভাবে প্রহৃত হইয়াও কোন রূপ দুঃখপ্রকাশ করিলেন না। যে সমস্ত লোক তাহাকে বিনাদোষে নির্যাতন করিতেছিল, তাহাদের অপরাধের কথা স্মরণ করিয়া তিনি করযোড়ে ভগবানের নিকট প্রার্থনা জানাইলেন, यूलिन।ब्र मंङ्ग बिअंश् “এ সব জীবেরে প্রভু করহ প্রসাদ । মোরে দ্রোহে নহু এ সবার অপরাধ ॥” জগৎ-প্রেমিক যীশু খ্ৰীষ্টের পর এরূপ অপূৰ্ব্ব ক্ষমার আদর্শ জগতের ইতিহাসে আর দেখা স্বায় না। বৈষ্ণব জগতে ঠাকুর হরিদাসের স্থান অতি উচ্চে। স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব উহাকে “পৃথিবীর শিরোমণি" বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। হরিদাসের অপূর্ব প্রভাবের পরিচয় পাইয়া কাজী ও মুলুকপতির মন ফিরিয়া গেল। তাহারা তাহাকে যথেচ্ছ বিচরণ ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের স্বাধীনতা প্রদান করিলেন। হরিদাস ঠাকুর ফুলিয়ায় ফিরিয়া আসিয়া সেই গোফার মধ্যে অবস্থান করতঃ প্রত্যহ তিন লক্ষ নাম