পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఉ" ংলায় ভ্রমণ শান্তিপুর হইতে ঘোড়ার গাড়ীতে করিয়া এই মন্দির দেখিয়া আসিতে পারা যায়) আড়ংঘাটা-কলিকাতা হইতে ৫৬ মাইল দূরে চূর্ণ নদীর তীরে অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথের প্রসিদ্ধ কবিতা “দেবতার গ্রাসে” চুণী নদী অমর হইয়া আছে। গঙ্গাসাগরের যাত্রীদল লইয়া নৌকা যখন ছাড়িয়া দিল তখন............ ● s 录 泰 瘫 海 * > ° হেমন্তের প্রভাত শিশিরে ছল ছল করে গ্রাম চুণী নদীতীরে। এখানে চূর্ণ নদীর তীরে যুগলকিশোর বিগ্রহের একটি মন্দির আছে। কথিত আছে, গঙ্গারাম দাস নামক জনৈক বৈষ্ণব বৃন্দাবন হইতে একটি শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রষ্ঠ আনিয়া প্রথমে নবদ্বীপের নিকট সমুদ্রগড়ে স্থাপন করেন। বগির উপদ্রবের সময় গঙ্গারাম যুগলকিশোরের মন্দির, আড়ংঘাট বিগ্রহটিকে লইয়া আড়ংঘাটায় চলিয়া আসেন। এখানে তাহার স্বদেশবাসী জনৈক বণিক র্তাহাকে আশ্রয় প্রদান করেন। যুগলকিশোরের মন্দিরটি আনুমানিক ১৭২৮ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হয়। প্রথমে শুধু শ্ৰীকৃষ্ণ বিগ্রহেরই পূজা হইত। কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র একটি রাধামূৰ্ত্তি শ্ৰীকৃষ্ণের বামপার্শ্বে প্রতিষ্ঠা করিয়া উভয় বিগ্রহের “যুগলকিশোর” নাম প্রদান করেন। যুগলকিশোরের সেবা নিৰ্ব্বাহের জন্য তিনি বহু নিষ্কর ভূমিও দান করেন। কথিত আছে, একবার যুগল কিশোরের ধানের গোলা আগুনে পুড়িয়া গেলে রাণাঘাটের পালচৌধুরী বংশের আদিপুরুষ কৃষ্ণপান্তি অতি সামান্ত মূল্যে ঐ গোল ক্রয় করেন। কৃষ্ণপান্তির সৌভাগ্যবশতঃ গোলার ধান উপরের দিকেই