পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

め>ミ - বাংলায় ভ্রমণ নামানুসারে অম্বিকাপুর রাখা হইয়াছে এবং রেল লাইনকে বিস্তৃত করিয়া বর্তমান ফরিদপুর সটেশনের স্বষ্টি হইয়াছে। ফরিদপুরে জগদ্বন্ধু সুন্দর নামে একজন ভক্ত সাধক বাস করিতেন । র্তাহার সমাধি এখানকার একটি দ্রষ্টব্য বস্তু। গোয়ালন্দ-কলিকাতা হইতে ১৫৫ মাইল দূর। এই স্থানটি প্ৰবলম্রোতা পদ্মার তীরে অবস্থিত । পদ্মার ভাঙ্গনের জন্য শহর ও স্টেশন এক জায়গায় থাকিতে পারে না, প্রায়ই বৎসর বৎসর ইহার স্থান পরিবর্তন করিতে হয় । এই জন্য এখানে ছোট ছোট কুটার ভিন্ন বড় বাড়ী নিৰ্ম্মিত হয় না। রেল স্টেশনের অফিস প্রভৃতি পদ্মার মধ্যে ভাসমান ফ্রাটের উপর অবস্থিত। গোয়ালন্দ হইতে স্টীমার যোগে পূর্ববঙ্গ রেলপথের ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ স্টেশন ও আসাম বাংলা রেলপথের চাদপুর এবং বাংলার আরও বহু স্থানে যাওয়া যায়। গোয়ালন্দ হইতে সিরাজগঞ্জ ঘাট ও জগন্নাথগঞ্জ ঘাট হইয়া বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত দৈনিক স্টীমার যাতায়াত করে ; গোয়ালন্দের ইলিশ মাছ ও তরমুজ খুব বিখ্যাত। বর্ষাকালে গোয়ালন্দ চইতে বড় পরিমাণে ইলিশ মাছ কলিকাতায় চালান আসে। গোয়ালদের নিকটবর্তী পদ্মানদীর বাক সমূহে যত ইলিশ মাছ পড়ে, এত আর কোথাও দেখা যায় না। বর্ষাকালে ইলিশ মাছ ধরিবার জন্য এক এক স্থানে বহু জেলের নৌকার সমাবেশ হয় এবং কেবলমাত্র জেলেদের ও মহাজনদের নিকট জিনিষ পত্র বিক্রয় করিবার জন্য নিকটবৰ্ত্তী চর গুলিতে অস্থায়ীভাবে এক একটি বড় বাজার বসে। গোয়ালন্দের নিকটস্থ পদ্মাতীরবত্তী স্থান সমূহের প্রাকৃতিক দৃশ্ব অতি সুন্দর। গণ্ডিং সেতু সংরক্ষণের বাধ ভেড়ামার জংশন—কলিকাতা হইতে ১১৫ মাইল দূর । ইহা একটি বদ্ধিষ্ণু পল্লী। সম্প্রতি কয়েক বৎসর হইল এখানে “সৰ্ব্বানন্দ মঠ” নামে একটি মঠ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । এষ্ট মঠের সংলগ্ন একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় ও চিকিৎসালয় আছে। ভেড়ামারা হইতে একটি শাখা লাইন দামুকদিয়া হইয়া ৯ মাইল দূরবর্তী রায়ত পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। জগদ্বিখ্যাত হাডিং সেতু নিৰ্ম্মিত হইবার পূৰ্ব্বে দামুকদিয়া ঘাট হইতে