পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ ᎼᏬ বাংলায় ভ্রমণ কাকশালগণ র্তাহার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহে মাসুম খী নেতৃত্ব করেন। বাদশাহী সেনাদলকে ইহাতে বেশ বেগ পাইতে হইয়াছিল। পরে মাসুম খ কাবুলি সোণার গা-এর ঈশা খাঁর সহিত যোগদান করেন; কিন্তু অবশেষে ১৫৯৯ খৃষ্টাব্দে ভাওয়ালের নিকট বাদশাহী ফৌজের সহিত যুদ্ধে নিহত হন। কথিত আছে মাসুম খী চাটমোহরে একটি প্রকাণ্ড দীঘি খনন করান। ইহার উত্তর তীরে নাকি র্তাহার বাসভবন ছিল। যে স্থানে তাহার পাঠান সৈন্তাগণ বাস করিত আজিও উহ পাঠানপাড়া নামে পরিচিত। চাটমোহর হইতে ৮৯ মাইল উত্তর পূৰ্ব্বে হাণ্ডিয়াল বা হাড়িয়াল একটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ গ্রাম। এককালে ইহা একটি বদ্ধিষ্ণু বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। রেশম এবং মুতীর কাপড় ক্রয় করিবার জন্য ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির একটি কুঠি বহুদিন ধরিয়া এখানে ছিল । এখানকার জগন্নাথ দেবের একটি প্রাচীন মন্দিরের উৎকীর্ণ লিপি হইতে জানা যায় ১৫৯০ খৃষ্টাব্দে ভবানী দাস নামক এক ব্যক্তি ইহার সংস্কার করিয়াছিলেন। ইহার নিকটেই রাজসাহী এবং পাবনা জেলার সীমান্তে অবস্থিত সুবিশাল চলন বিল। বৰ্ত্তমানে ইহার বিস্তৃতি ১৪০ বর্গমাইল ; পূর্বে ইহার বর্গফল ৪১১ মাইল ছিল বলিয়৷ কথিত ; পলি পড়িয়া ইহা দ্রুত ভরিয়া আসিতেছে। আত্রাই নদী এই বিলে আসিয়া পড়ে ; এবং ক্ষুদ্র নদী গুমালী হইয়া বড়াল ও হুরসাগর নদীপথে ইহার জল ব্রহ্মপুত্র বা যমুনায় পতিত হয়। পুরাতন মন্দির, পুষ্করিণী ও বাড়ী ঘর হইতে ধারণা হয় চলন বিলের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল পূর্বে বেশ সমৃদ্ধ ছিল। হাড়িয়ালের ৩/৪ মাইল দক্ষিণ পূৰ্ব্বে সমাজ নামক স্থানে বহু পুরাতন পুষ্করিণী দৃষ্ট হয় । কথিত আছে এই স্থানে মুঘলদিগের একটি কাছারী ছিল এবং নিকটস্থ মরীচপুরান গ্রামে একটি সৈন্যের ঘাট ছিল। সমাজের এক মাইল উত্তরে শীতলাই গ্রামের জমিদারগণ এ অঞ্চলে প্রসিদ্ধ । হাড়িয়ালের ১০ মাইল উত্তরে চাটমোহর হইতে প্রায় ১৯ মাইল দূরে তাড়াশ গ্রাম অবস্থিত । এখানকার রায় উপাধিধারী জমিদারগণও প্রসিদ্ধ । তাড়াশে বহু মন্দির আছে । ইহার মধ্যে একটি শিবমন্দিরের উৎকীর্ণ লিপি হইতে জানা যায় যে ১৬৩৫ খৃষ্টাব্দে ইহা নারায়ণদেব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং ১৭১১ খৃষ্টাব্দে বলরাম দাস কর্তৃক সংস্কৃত হইয়াছিল। مید ভাঙ্গুড়া-ঈশ্বরদি হইতে ২২ মাইল দূর। এখান হইতে বহু পরিমাণ মৎস্য ও পাট কলিকাতায় রপ্তানি হয়। স্টেশনের পরেই বড়াল নদী লাইন পার হইয়া দক্ষিণে চলিয়া গিয়াছে। ভাঙ্গড় হইতে প্রায় ৪ মাইল উত্তরে অষ্টমনীষা গ্রাম এক কালে সমৃদ্ধ ছিল এবং এখানে বহু মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। উল্লাপাড়া—ঈশ্বরদি হইতে ৩৬ মাইল দূরে ফুলঝুর নদীর তীরে অবস্থিত। করতোয় নদী বগুড়া জেলার দক্ষিণে হলহলিয়ার সহিত মিলিত হইবার পর ফুলঝুর নামে অভিহিত হয় এবং উল্লাপাড়ায় সিরাজগঞ্জ লাইন পার হইয়া প্রায় ৪ মাইল দক্ষিণে হুরাসাগর নদে পতিত হয়। উল্লাপাড়া পাটের ব্যবসায়ের একটি বিশিষ্ট কেন্দ্র । এখান