পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার সাধারণ পরিচয় বৈদিক ও পৌরাণিক যুগ-বাংলা বা বঙ্গদেশ অতি প্রাচীন। ঋগ্বেদের ~ অনুগামী ঐতরেয় আরণ্যক, বৌধায়নসূত্র, পাতঞ্জল মহাভাষ্য, রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবত, হরিবংশ, মনুসংহিতা, বিষ্ণুপুরাণ, মৎস্তপুরাণ, বায়ুপুরাণ প্রভৃতি মহাপুরাণ ও বহু উপপুরাণে, শক্তিসঙ্গমতন্ত্রে, কালিদাসকৃত রঘুবংশে এবং বরাহ মিহিরের বৃহৎ সংহিতা প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থে বঙ্গদেশের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। আরণ্যক, সূত্র ও সংহিতা গ্রন্থে বঙ্গদেশ সম্বন্ধে যেরূপ উল্লেখ আছে তাহাতে মনে হয় যে তৎকালে বাংলাদেশে আৰ্য সমাগম হয় নাই। রামায়ণের যুগে বঙ্গদেশ ধনধান্ত সমন্বিত ও সমৃদ্ধিশালী ছিল। মহাভারতের সময়ে বঙ্গদেশ কতকগুলি বিভিন্ন স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তৎকালীন পুণ্ড, বা উত্তরবঙ্গের রাজা পৌণ্ডক শ্ৰীকৃষ্ণের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাহার বীরত্ব ও বাহুবলের কথা ভাগবত প্রভৃতি গ্রন্থে সবিস্তারে বর্ণিত আছে। মহাভারত ও অন্যান্য পুরাণে বিবৃত হইয়াছে যে চন্দ্রবংশীয় নৃপতি যযাতির অন্যতম পুত্র অনুর বংশে বলিনামে এক সৰ্ব্বধৰ্ম্মজ্ঞ রাজা জন্মগ্রহণ করেন। বৈদিক মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি দীর্ঘতম গৌতমের বরে বলিরাজার মহিষী সুদেষ্ণার গর্ভে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুহ্ম ও পুণ্ড, নামক পরাক্রমশালী পাঁচটি পুত্র জন্মগ্রহণ করে। উত্তরকালে এই পঞ্চভ্রাতার নামে ভারতের পাঁচটি জনপদের নামকরণ হয় । ভারতবর্ষের বর্তমান রাষ্টিক বিভাগ অনুসারে অঙ্গদেশের অবস্থান বিহারের ভাগলপুর বিভাগে, বঙ্গের বর্তমান বাংলার ঢাকা বিভাগে, কলিঙ্গের দক্ষিণ ওড়িষ্যায়, সুহ্মের রাঢ়দেশ বা বৰ্দ্ধমান বিভাগে এবং পুণ্ডের অবস্থান উত্তরবঙ্গ বা রাজশাহী বিভাগে নির্দেশ করা যাইতে পারে। কালিদাস ও মেগাস্থিনিসের বর্ণনা—মহাকবি কালিদাস রঘুর দিগ্বিজয় প্রসঙ্গে উল্লেখ করিয়াছেন যে বঙ্গদেশীয় নৃপতিগণ বহু রণতরী লইয়া রঘুরাজের সহিত জলযুদ্ধ করিয়াছিলেন। খৃষ্টপূৰ্ব্ব চতুর্থ শতকে গ্রীক রাজদূত মেগাস্থিনিস, পাটলিপুত্রের পূর্বভাগে ও গঙ্গার পশ্চিম তীরে গঙ্গারিডি বা গঙ্গারাঢ় নামক একটি বৃহং ও পরাক্রমশালী জনপদের বর্ণনা করিয়াছেন। ঐতিহাসিকগণ অনুমান করেন যে মেগাস্থিনিস, বর্ণিত গঙ্গারিডি বর্তমান বৰ্দ্ধমান বিভাগ বা রাঢ়দেশ হইতে অভিন্ন। মেগাস্থিনিস লিখিয়াছেন যে গঙ্গারিডি দেশে বহুসংখ্যক দুর্বার হস্তিবাহিনী থাকার জন্ম 敷

|

§:. এই দেশ কখনও বৈদেশিকগণের দ্বারা বিজিত হয় নাই। বীরকেশরী আলেকজাণ্ডার সমগ্র এসিয়া জয় করিয়াও ছদ্ধর্ষ গঙ্গারিডিগণের সহিত যুদ্ধ করিতে সাহসী হন নাই। বৌদ্ধ ও জৈন গ্রন্থাদিতে উল্লেখ—সিংহলের মহাবংশ গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া ऍग्रज्ञ যে খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে “রালরট” বা রাঢ়দেশের সিংহপুরে বিজয়সিংহের পিতা সিংহবাহু রাজত্ব করিতেন। জৈনদিগের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন গ্রন্থ “আয়ারঙ্গ মৃত্ত" বা i আচারাঙ্গসূত্রে উল্লিখিত আছে যে জৈন তীর্থঙ্কর বদ্ধমান স্বামী “ লাঢ়’ ৰ৷ রাঢ়দেশে