পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ Sఫినె এই স্টেশন হইতে পাঁচ মাইল পূৰ্ব্বে অবস্থিত গোপীনাথপুর গ্রামে প্রায় চারি শত বৎসর পূর্ব হইতে গোপীনাথদেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত আছে। মুর্শিদাবাদ জেলার আমলই গ্রামনিবাসী নন্দরাম সিংহ নামক জনৈক উত্তর রাঢ়ীয় কায়স্থ অদ্বৈতাচার্যোর স্ত্রী সীতাদেবীর নিকট নবদ্বীপে দীক্ষা গ্রহণ করিয়া গোপীভাবে সাধনা করিতে আরম্ভ করেন এবং উহাতে সিদ্ধিলাভ করিয়া “ নন্দিনীপ্রিয়৷ ” নামে পরিচিত হন। তিনিই পরে এই গ্রামে আসিয়া গোপীনাথ বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করিয়া সেবা করিতে থাকেন। কথিত আছে, র্তাহার অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়া তখনকার বাদশাহ মন্দিরের ব্যয়ের জন্য গোপালপুর মহাল দান করেন। গোপীনাথ দেব অষ্টসখীর দ্বারা পরিবেষ্টিত। কানাই, বলাই, রাধাকৃষ্ণ ও গরুড়মূৰ্ত্তি মূল বিগ্রহের গোপীনাথদেবের মন্দির, গোপীনাথপুর চতুদিকে বিদ্যমান। গোপীনাথের প্রাচীন মন্দির ১৩০২ সালের ভূমিকম্পে ভূমিসাৎ হয় । বৰ্ত্তমান মন্দিরটি উচ্চতায় প্রায় ৫০ ফুট হইবে । এখানে প্রত্যহ ২৫ সের চাউলের ভোগ দেওয়া হয় এবং অতিথি অভ্যাগতগণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হইয়া থাকে। গোপীনাথ সম্বন্ধে বহু অলৌকিক গল্প শুনা যায়। দোলযাত্রা উপলক্ষে পঞ্চমদোলের দিন হইতে গোপীনাথপুরের মন্দিরপ্রাঙ্গণে বারদিন স্থায়ী একটি বিরাট মেলা বসে। এই মেলায় বাংলাদেশ তথা ভারতের নানাস্থান হইতে গরু, মহিষ, উট, ঘোড়, লুম্বা প্রভৃতির আমদানী হয় এবং 9