পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○o বাংলায় ভ্ৰমণ মেলাস্থান একটি নগরের আকার ধারণ করে। মেলার সময় আক্কেলপুর স্টেশন হইতে গোপীনাথপুর পর্য্যন্ত ঘোড়ার গাড়ী ও টমটম যাতায়াত করে। গোপীনাথপুরের নিকটেই মাটিহাস গ্রাম। এই স্থানে বিস্তৃত একটি ধ্বংসাবশেষ আছে । - আক্কেলপুর স্টেশন হইতে প্রায় ১০ মাইল উত্তর পূৰ্ব্বে ক্ষেতলাল গ্রাম অবস্থিত। এখানে একটি থানা আছে। থানার দক্ষিণে রাজবাড়ীর চড়া নামে একটি রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ আছে; ইহার পূর্ববধারে মহলপুকুর এবং নিকটে সনকা ও মেনকা নামে তুটি জলাশয় আছে । প্রবাদ এই রাজবাড়ী রাজা অনস্তরাম রায়ের । এই গ্রাম হইতে প্রাপ্ত একটি বোধিসত্ত্ব লোকনাথের, একটি মহিষাসনে উপবিষ্ট যমের ও দুইটি জননী ও শিশুর মূৰ্ত্তি রাজশাহীতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির চিত্রশালায় রক্ষিত আছে । . : "{", ; షా: মাটিহাস স্ত,প জামালগঞ্জ-কলিকাতা হইতে ১৯০ মাইল দূর । ইহা বগুড়া জেলার একটি বৃহৎ পাটের গঞ্জ । পাহাড়পুর-জামালগঞ্জ হইতে তিন মাইল পশ্চিমে রাজশাহী জেলার অন্তর্গত প্রাচীন বাংলার অতীত গৌরবের প্রধান নিদর্শন পাহাড়পুর গ্রাম অবস্থিত। স্টেশন হইতে লোকাল বোর্ডের র্কাচ রাস্তা আছে ; গরুর গাড়ীতে কিংবা পদব্রজে যাইতে হয় । কয়েক বৎসর হইল ভারত সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পূর্ব চক্রের অধ্যক্ষ এখানে ৮০ ফুট উচ্চ প্রকাণ্ড একটি ইষ্টকময় স্তৃপ খনন করিয়া একটি বিশিষ্ট ধৰ্ম্মায়তনের উদ্ধার সাধন করিয়াছেন। পাহাড়পুর নামটি কিন্তু আধুনিক । খনন করিবার পূৰ্ব্বে এখানকার বিরাট জঙ্গলাকীর্ণ স্তৃপটি পাহাড়ের মত দেখাইত বলিয়া ইহার নাম হইয়াছে পাহাড়পুর। এই স্থানের প্রাচীন নাম ছিল সোমপুর । এখানকার ভগ্নাবশেষের মধ্যে যে একটি মুদ্রা (Seal) পাওয়া গিয়াছে তাহাতে লেখা রহিয়াছে—“ সোমপুর ধৰ্ম্মশালা বিহার ” পাহাড়পুরের পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম এখনও “ওম্পুর” নামে পরিচিত। মহাস্থানগড় বা প্রাচীন পৌণ্ডবৰ্দ্ধন ও বাণগড় বা প্রাচীন কোটিবর্ষ হইতে যথাক্রমে উত্তর পশ্চিমে ও দক্ষিণ পূৰ্ব্বে প্রায় ৩০ মাইল দূরে এই বিরাট বিহার ও সঙ্ঘারাম 9a 曾