পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ >○S বস্থিত। পণ্ডিতেরা অনুমান করেন যে, নগরীর কোলাহল হইতে বহুদূরে শান্তি ও f জনতার মধ্যে ভিক্ষুগণ যাহাতে ধৰ্ম্মসাধনায় মগ্ন থাকিতে পারেন সেইজন্য সম্ভবতঃ ই স্থানে এই মহাবিহার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। পাহাড়পুরের প্রধান স্তৃপের মন্দির বা মহাবিহারটির গঠনরীতি স্বতঃই দৃষ্টি আকর্ষণ ল রে ; ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পে ইহা এক নূতন নিদর্শন। ভারতে এইরূপ পদ্ধতি অন্যস্থানে অনুস্ত না হইলেও ব্রহ্মে, কম্বোজে ও যবদ্বীপের বিরাট মন্দিরগুলিতে যে পাহাড়পুরের আদর্শই গ্রহণ করা হইয়াছে তাহাতে সন্দেহের অবকাশ নাই। ঘবদ্বীপের বরবছর ও প্রামবাণম ও কম্বোজের আঙ্কোরভাট প্রভৃতি জগৎ-প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলির গঠন রীতির সহিত পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহারের গঠনরীতির সোসাদৃশু হইতে প্রমাণ হয় যে, পূৰ্ব্ব এসিয়ায় ভারতীয় সভ্যতা বিস্তারে বাংলার দান অসামান্ত । প্রথম পাল রাজত্বের যুগে যবদ্বীপ প্রভৃতির সহিত পূৰ্ব্বভারতের ঘনিষ্ঠতার কথা নালান্দায় আবিষ্কৃত তাম্রশাসন হইতে জ্ঞাত হওয়া যায় । পাহাড়পুর গুপের পৃষ্ঠ । কেহ কেহ অনুমান করেন যে, পাহাড়পুরের মহাবিহার প্রতিষ্ঠার পূৰ্ব্বে ঐ স্থানে বা নিকটে চতুমুখ জৈনমন্দির ছিল এবং কতকাংশে তাহার আদর্শে বিহারটি পরে নিৰ্ম্মিত হয় ; পাহাড়পুরের সহিত জৈনদের যে সম্বন্ধ ছিল তাহার প্রমাণ এই স্তৃপ খননকালে ভাল ভাবেই পাওয়া গিয়াছে। যাহা হউক চতুমুখ জৈনমন্দিরের সহিত বিহারটির প্রাথমিক স্বাক্ষতিগত ও কিছু সাদৃশ্য থাকিলেও বিহারের তিনটি তল, প্রতি তলে প্ৰদক্ষিণের পথ প্রভৃতি নানা বিষয়ে ইহার মৌলিকত্ব ও বিশেষত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। .