পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪ বাংলায় ভ্রমণ প্রবেশপথের ঠিক সম্মুখভাগে গড়ের মধ্যস্থিত প্রধান অধিষ্ঠানের সুবৃহৎ সিড়ি অবস্থিত। উক্ত সিড়ি দিয়া দ্বিতলে উঠিতে হয়। এই তলে একটি “ প্রদক্ষিণ-পথ ” আছে। পথের চারিধারে নক্সা করা টালিতে (Plaques) মানুষ, নানারকম জীবজন্তুর ছবি এবং * পঞ্চতন্ত্র ” ও “ হিতোপদেশে ’ বর্ণিত গল্প চিত্রিত হইয়াছে। ইহার মধ্যে “বানর-কীলক o o a . . s o o ধেনুকাসুরবধ, পাহাড়পুর স্তুপ ( প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সৌজষ্ঠে ] কথা” ও “সিংহ-শশক-কথা “ বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইহার কিঞ্চিৎ উপরিভাগে একটি থামে যে শিলালেখন পাওয়া গিয়াছে, তাহা হইতে জানা যায় যে কনৌজের গুর্জরপ্রতিহার বংশের রাজা মহেন্দ্রপাল দেবের সময়ে এই মন্দিরের কিয়দংশের সংস্কাপ হইয়াছিল। পাহাড়পুরের আবিষ্কৃত একখানি তাম্রশাসনে বর্ণিত আছে যে ১৫৯ গোপ্তাবে অর্থাৎ গুপ্তবংশীয় সম্রাট বুধগুপ্তের সময়ে এই স্থানে একটি জৈন মন্দির ছিল। পাহাড়পুরের মন্দিরের ভিত্তি খুড়িবার সময় বহু পাথরের হিন্দু দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছে ।