পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&b. বাংলায় ভ্রমণ বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের কোনও উপত্যকায় রাষ্ট্রকুট বংশীয় অমোঘবর্ষ ও গুর্জরনাথ নাগভট-পুত্ৰ রামভদ্রদেব দেবপালের নিকট পরাভূত হইয়াছিলেন। মুঙ্গেরে আবিষ্কৃত একখানি তাম্রশাসন হইতে জানা যায় যে মহারাজ দেবপালের রাজ্য হিমালয় হইতে সেতুবন্ধ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। নালান্দার ধ্বংসাবশেষ হইতে আবিষ্কৃত মহারাজ দেবপালদেবের রাজ্যের ৩৮ বৎসরে সম্পাদিত একখানি তাম্রশাসন হইতে জানা যায় যে নবদ্বীপের অধিপতি বালপুত্রদেব নালান্দা তীর্থে একটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন এবং নালান্দ পালবংশীয় দেবপালদেবের রাজ্যভুক্ত থাকায় তাহার নিকট একজন দূত পঠাইয়া নবপ্রতিষ্ঠিত বিহারের বুদ্ধমূৰ্ত্তি পূজা এবং ভিক্ষুগণের সর্বপ্রকার ব্যয় নির্বাহের জন্য পাঁচ খানি গ্রাম দান করিতে অনুরোধ করেন । এই অনুরোধ অনুযায়ী দেবপালদেব পাঁচখানি গ্রাম বৌদ্ধ বিহারে দান করিয়াছিলেন। দেবপালদেব আফগানিস্থানের অন্তর্গত নগরহার, (বৰ্ত্তমান নিংবাহারের) অধিবাসী ইন্দ্রগুপ্তের পুত্র মহাপণ্ডিত বীরদেবকে নালান্দা মহাবিহারের সঙ্ঘ-স্থবির নিযুক্ত করিয়াছিলেন। দেবপালদেব ৮২০ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করিয়া ৮৬০ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন । র্তাহার মৃত্যুর পর ধৰ্ম্মপাল বংশীয় কেহ উত্তরাধিকারী না থাকায় প্রথম গোপালদেবের দ্বিতীয় পুত্র বাকৃপালের পৌত্র বিগ্রহপাল বা শুরপাল গৌড়-বঙ্গমগধের অধীশ্বর হন। বিগ্রহপাল হৈহয় অর্থাৎ চেদী বা কলচুরি রাজবংশের লজ্জাদেবীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । ভট্টগুরব মিশ্রের পিতা কেদার মিশ্র তাহার মন্ত্রী ছিলেন। তাহার রাজ্যের তৃতীয়বর্ষে সিন্ধুদেশীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু পূর্ণদাস পাটনা জেলার বিহার নগরে দুইটি বুদ্ধমূৰ্ত্তি স্থাপন করেন ; এই মূৰ্ত্তির পাদপীঠে বিগ্রহপালের শিলালিপি উৎকীর্ণ আছে। বিগ্রহপালের মৃত্যুর পর তাহার পুত্র নারায়ণপাল গৌড়-বঙ্গ-মগধের সিংহাসনে অধিরূঢ় হন। তিনি ৫০ বৎসরেরও অধিককাল রাজত্ব করিয়াছিলেন এবং তাহারই রাজত্বকাল রাজ্যের অনেকাংশ পালবংশের হস্তচু্যত হয়। ধৰ্ম্মপাল ও দেবপালদেবের সময়ে গৌড়-মগধ-বঙ্গে শিল্পোন্নতি চরম সীমায় পৌঁছিয়াছিল। গৌড় ও মগধ প্রস্তর শিল্পে সারা ভারতবর্ষে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। নানাপ্রকার প্রস্তর ও ধাতু নিৰ্ম্মিত বৌদ্ধ ও হিন্দু মুক্তি এই সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। নারায়ণপালের পর পালরাজ বংশের অধঃপতনের সহিত গৌড়ীয় শিল্পের অবনতি ঘটে। গরুড় স্তম্ভ হইতে ৩ মাইল দূরে চিরী বা শ্ৰী নদীর ধারে প্রায় ১,০০০ ফুট পরিধি লইয়া বৃত্তাকারের একটি স্তৃপ আছে। নিকটেই ২২৫ ফুট লম্বা আর একটি ধ্বংসস্তৃপ এবং একটি প্রকাণ্ড প্রাচীন জলাশয় আছে। অষ্টকোণ-বিশিষ্ট একটি প্রস্তর স্তম্ভওঁ এখানে পাওয়া গিয়াছে। এই স্থানেই “রামচরিত’ বর্ণিত পালরাজগণের সময়কার প্রসিদ্ধ জগদ্দল নামক মহাবিহার বা বৌদ্ধ বিশ্ব-বিদ্যালয় অবস্থিত ছিল বলিয়া অনুমিত হয়। গরুড়স্তম্ভের দক্ষিণে দেওয়ানবাড়ী ও ধুরইল নামক সমীপবৰ্ত্ত গ্রামেও বহু পুরাতন সরোবর ও অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ আছে। মুকুন্দপুরের হরগৌরী মন্দিরের কয়েক মাইল দক্ষিণে অবস্থিত সিদ্ধিপুর .g|び研 ভীমসাগর নামক একটি দীঘি, ভীমের চামুণ্ড মণ্ডপ ও জাঙ্গাল আছে। এইগুলির সছি” ক্ষেীণী-নায়ক ভীমের স্মৃতি-বিজড়িত। . .