পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ - - বাংলায়ু ভ্ৰমণ থাকিবার অনেক সুবিধা আছে। দেশীয় হোটেল প্রভৃতির মধ্যে সেন্টাল বোর্ডিং একেবারে সটেশনের নিকটে অবস্থিত। বাজার হইতে অল্প একটু দূরে রেল স্টেশনের নিকটে কার্টরোডের উপর লাউইস জুবিলি স্যানিটেরিয়াম্। ইডেন স্যানিটেরিয়াম যেরূপ কেবল ইউরোপীয়দের জন্য, এইটি সেইরূপ কেবল ভারতবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট । প্রতি বৎসর বিজয়ার দিন এখানে শহরের সমস্ত বাঙালীরা মিলিত হইয়া ক্রীড়া কৌতুক ও আনন্দের ভিতর দিয়া সময় অতিবাহিত করেন। রেল স্টেশনের কাছেই ধৰ্ম্মশালা ; ধৰ্ম্মশালায় থাকিবার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু আহারাদির ব্যবস্থা নিজেদের করিতে হয়। নিরামিষভোজীদের পক্ষে এই ত্রিতল ধৰ্ম্মশালাটি খুবই সুবিধাজনক। মাড়োয়ারীরা বহু অর্থ ব্যয় করিয়া এই ত্রিতল ধৰ্ম্মশালাটি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । বাংলাদেশের মধ্যে ইহা একটি উৎকৃষ্ট ও নিকটবৰ্ত্তী স্বাস্থ্যকর স্থান বলিয়া বায়ু পরিবর্তনের জন্য এখানে বহু লোক আসিয়া থাকেন । - দাৰ্জিলিংএ দুইটি উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় আছে। একটি গবর্ণমেণ্ট জেলা স্কুল, অপরটি বাঙালী বালিকাদের জন্ত প্রতিষ্ঠিত মহারাণী স্কুল। ইহার সংলগ্ন বোর্ডিংএ প্রবাসী বালিকাদের থাকিবার সুবন্দোবস্ত আছে। কোচবিহার, ময়ুরভঞ্জ ও বৰ্দ্ধমানের মহারাণী— এই তিন জন মহারাণীর চেষ্টা ও যত্বে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া ইহার নাম “মহারাণী স্কুল।” ইহা ছাড়া ইংরেজ ও ফিরিঙ্গী বালক বালিকাদিগের জন্য ভালো இ. শহরের: “ষ্ট্রেপ এসাইড” নামক বাড়ীতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের মৃত্যু হয়। তাহার জন্যও বাঙালীর নিকট ইহা স্মরণীয় স্থান। : - এই শহরের জন সংখ্যা আনুমানিক ২৮,৪০০ । ইহার এক পঞ্চমাংশ বাঙালী। পাৰ্ব্বত্য অধিবাসীরা তিনটি বিভিন্ন জাতির ; পাহাড়িয়া বা নেপালী, ভুটিয়া ও লেপচা। ইহাদের মধ্যে পাহাড়িয়াগণ দেখিতে সৰ্ব্বাপেক্ষা সুন্দর। r দাৰ্জিলিং চা আবাদের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হইয়া দাড়াইয়াছে। দাৰ্জিলিংএর চা সুগন্ধির জন্ত বিখ্যাত। সমগ্র জেলায় প্রতি বৎসর গড়ে &S, , , , , , , পাউণ্ড চা উৎপন্ন হয়। S, ) ' . দার্জিলিংএর আশে পাশে—দাৰ্জিলিংএর আগের স্টেশন ঘুম হইতে সুন্দর জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা দিয়া দুই মাইল চড়াই উঠিয়া সিঞ্চল পাহাড়ের উপরিস্থিত ডাকবাংলা । ইহা উচ্চে ৮,১৬৩ ফুট । পুর্বে এখানে গোর বারিক ছিল। উহা জলপাহাড়ে লইয়া,যাওয়া হয়। এখন ইহা গলফ খেলার মাঠ হইয়াছে। সিঞ্চল হইতে আরও এক মাইল উঠিয়া টাইগারহিল বা “বাঘ পাহাড়ের উপরে যাইতে হয়। সিঞ্চল ও বিশেষতঃ টাইগার হিল হইতে পারিপার্থিক দৃশ্যাবলী যেরূপ অপূর্ব সুন্দর দেখায় দার্জিলিংএর নিকটবৰ্ত্ত আর কোথা হইতে তাহার তুলনা হয় না। দক্ষিণে কাসিয়ং পাহাড় ও বাংলার সমতল ভূমি ও তরাইএর মধ্য দিয়া তিস্তা, বালাসন, মহানদী ও মেচ যেন মানচিত্রে আঁকা রহিয়াছে। উত্তরে ঠিক সিঞ্চলের নীচে ৭০০০ ফুট নিয়ে 11a ● s