পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ Wరి অবস্থিত রঙ্গীত নদীর গভীর উপত্যকা; রঙ্গীত গিয়া তিস্তাতে মিশিয়াছে। তিস্তার ওপারে সিকিম, নেপাল ও ভূটানের পাহাড় শ্রেণীর পর শ্রেণী দাড়াইয়া আছে এবং তাহাদের সরে অৰ্দ্ধ দিগ্‌মণ্ডল ব্যাপিয়া জাগিয়া আছে তুষারাবৃত শিখরের পর শিখর । কাঞ্চনঙ্গো, কাব্রু, জানো, পানদিম, নরসিং প্রভৃতির দৃশ্য এখান হইতে আরও সুন্দর, আরও হোন। উত্তর-পূর্ব কোণে তুষারাচ্ছন্ন চোঙ্গাশ্রেণীর পশ্চাতে ৪ মাইল দূরে তিব্বতের মুলহারি পর্বত (২৩,১২৯ ফুট) বৃহৎ গোলাকার তুষারস্তপ রূপে দেখা যায়। উত্তরপশ্চিম কোণে সিঙ্গলীলার কৃষ্ণবর্ণ পৰ্ব্বতশ্রেণীর উপর দিয়া শত মাইল দূরে জগতের উচ্চতম পর্বতশিখর ২৯,০০২ ফুট উচ্চ এভারেস্টের শীর্ষদেশটুকু অপর দুইটি পৰ্ব্বতশৃঙ্গের মধ্যস্থলে দেখিতে পাওয়া যায়। পাশ্ববৰ্ত্তী দুইটির মধ্যে ২৭,৭৯৯ ফুট উচ্চ আরামকেদারার মত দেখিতে মাকালুকে, অনেক নিকটে অবস্থিত বলিয়া এভারেস্ট অপেক্ষা বড় বলিয়া ভ্রম হয়। টাইগার হিল হইতে চিরতুষার-হিমালয়ের গাত্রে সূর্য্যোদয় দেখিতে পাওয়া জীবনের এক তুল্লভ অভিজ্ঞতা। উদীয়মান সূর্য্যের আলোকচ্ছটায় বরফের গায়ে পর দজ্জিলিংএর নিকটবৰ্ত্তী একটি স্বনীর দৃষ্ঠা পর কত রং যে ফলিত হয় তাহা ভাষার দ্বারা বুঝান যায় না। রাত্রি থাকতে গজ্জিলিং হইতে পদব্রজে, অশ্বপৃষ্ঠে বা রিকশা আরোহণে সহজেই সূর্যোদয় দেখিয়া আসা যায়। অনেকে সিঞ্চল ডাকবাংলায় আসিয়া রাত্রি যাপন করেন এবং প্রত্যুষে উঠিয়া টাইগার হিলে চলিয়া যান। উত্তর-পশ্চিম সিঞ্চলের গাত্রে দাৰ্জিলিংএর জল সরবরাহের কারখানা ! পাহাড়ের গা হইতে জল ধরিয়া থিতাইবার জন্য অনেকগুলি |ais ছোট পুষ্করিণী আছে । - - .