পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbre বাংলায় ভ্রমণ হইতে গঙ্গাতীরবর্তী পথ দিয়া পুরযাত্রা কালে আটিসারা গ্রামে অনন্ত নামক জনৈক সাধু : ব্রাহ্মণের বাটিতে কৃষ্ণকথা প্রসঙ্গে রাত্রি যাপন করেন, যথা – : “সৰ্ব্ব রাত্রি কৃষ্ণ-কথা কীৰ্ত্তন প্রসঙ্গে । আছিলেন অনন্ত পণ্ডিত গৃহে রঙ্গে ॥ শুভ দৃষ্টি অনন্ত পণ্ডিত প্রতি করি। প্রভাতে চলিলা প্রভু বলি, “হরি, হরি ॥” আটিসারার মহাপ্রভু-বাটিভে গৌর নিতাই বিগ্রহের নিত্য পূজা হয় এবং বৈশাখ মাসে এখানে পক্ষকাল স্থায়ী একটি মেলা হয়। বারুইপুর জংসন হইতে একটি শাখাপথ ২৩ মাইল দূরবর্তী লক্ষীকান্তপুর পর্যন্ত গিয়াছে। এই শাখাপথে ধপধপি, দক্ষিণ বারাশত, বহড়, জয়নগর-মজিলপুর ও মথুরাপুর রোড উল্লেখযোগ্য স্টেশন । এই সকল স্থানের পাশ্ব দিয়া ভাগীরথীর প্রাচীন খাত এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। \ ধপধপি—কলিকাতা হইতে ২০ মাইল দূর। এই গ্রামে ব্যান্ত্রের দেবতা দক্ষিণরায় বা দক্ষিণেশ্বরের মন্দির অবস্থিত। কবি কৃষ্ণরাম দাসের “রায়মঙ্গল” নামক কাব্যে দক্ষিণরায়ের মাহাত্মা সবিস্তারে বর্ণিত আছে ( “বেলঘরিয়া” স্টেশন দ্রষ্টব্য )। দক্ষিণরায়, ধপধপি পূৰ্ব্বে এই অঞ্চল সুন্দরবনের অংশ ছিল এবং এখানে ব্যান্ত্রের ভয়ানক দৌরাত্ম্য ছিল। যাহারা মুন্দরবনের জঙ্গলে মধু, মোম বা কাষ্ঠ আহরণ করিতে যাইত, তাহারা ব্যাজের দেবতা দক্ষিণরায়কে ষোড়শোপচারে পূজা দিয়া অরণ্য মধ্যে প্রবেশ করিত। লোকের বিশ্বাস ইহাতে তাহাদের আর কোন বিপদ ঘটিত না এবং তাহারা প্রচুর পরিমাণে মোম ও মধু পাইত। সময়ে সময়ে দক্ষিণরায়ের স্বপ্নাদেশে তাহার নিকট নরবলি য়ি র্তাহার প্রসন্নতা অর্জন করিতে হইত। “বনবিবির জহুরানামা” নামক পুথিতে বৰ্ণিত