পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brbr বাংলায় ভ্রমণ \ A. তাহাই ফলিত। এই জন্য এই গ্রামের নাম বাকৃসিদ্ধি বা বোলসিদ্ধি হয় গাজন ও ~ു শিবরাত্রির সময় এই শিবমন্দিরে বহু যাত্রীর সমাগম হয়। ডায়মণ্ড হারবার-কলিকাতা হইতে ৩৭ মাইল দূর । এই স্থানের দেশীয় নাম হাজীপুর। বাণিজ্য জাহাজ সকলের অবস্থানের জন্য এই স্থানটি বিশেষ উপযোগী বলিয়া ইংরাজেরা ইহার ডায়মণ্ড হারবার নামকরণ করেন। একশত বর্ষেরও পূৰ্ব্বে এই স্থানে বহু জাহাজ আসিয়া থামিত এবং মাল উঠা নামা করিত। ইহা চব্বিশ পরগণা জেলার অন্যতম মহকুমা। এখানে গঙ্গার বিস্তৃতি প্রায় তিন মাইল ও দৃশু অতি মনোরম ৷ যতদূর দৃষ্টি চলে শুধু জল থৈ থৈ করিতেছে দেখা যায় ; সূর্য্যোদয় ও সূৰ্য্যাস্তের দৃশ্ব আরও সুন্দর। এখানে গঙ্গার কিনারা দিয়া একটি বড় বাধ আছে, এই বাধের উপর দিয়া ভ্রমণ করা বড়ই আনন্দ দায়ক। দক্ষিণ দিক হইতে আগত সমুদ্রের নিৰ্ম্মল বাতাস ক্লান্ত দেহমনকে তৃপ্ত করে। ডায়মণ্ড হারবারের গঙ্গাতীরে একটি সুন্দর লকগেট ও ঝাউবীথি, ডায়মণ্ডহারবার ঝাউ বীথি আছে। স্থানটি যেমন নির্জন, তেমনই মনোরম। কলিকাতা শহরের বহু নাগরিক ও ছাত্র এই স্থানে বনভোজন বা চড়িভাতি করিবার জন্য আসিয়া থাকেন। এখানকার লক্গেট বা নদী হইতে খালে জল লইবার দরজা অপর একটি দ্রষ্টব্য বস্তু। স্থানটি বিশেষ স্বাস্থ্যকর। নদীর তীরে এখানে একটি পরিত্যক্ত দুর্গ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার নাম চিংড়ীখালি গড় । বহিঃ শত্রুর আক্রমণ হইতে কলিকাতা নগরী রক্ষা করিবার জন্য এই দুর্গটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, পরে ইহা পরিত্যক্ত হয়। এই স্থানে ইংরেজদের একটি পুরাতন গোরস্থান আছে। কথিত আছে চৈতন্যদেব পুরী গমন কালে হাজীপুরে আসিয়াছিলেন। গঙ্গাসাগর --ডায়মণ্ড হারবার হইতে স্টীমার যোগে সুপ্রসিদ্ধ তীর্থ গঙ্গাসাগর বা সাগরদ্বীপে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যাইতে হয়। ডায়মণ্ড হারবার হইতে গঙ্গাসাগর দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ৪০ মাইল। প্রতি বৎসর পৌষ সংক্রান্তির সময়ে এখানে প্রসিদ্ধ মকর স্বানের মেলা হয় এবং উহাতে ভারতের প্রায় সকল প্রদেশের লোক যোগদান করে। মেলায় সুন্দর রঙীন কাঠের নানারূপ পুতুল ও কাঠের জন্তু জানোয়ার বিক্রীত হয় ; বিশেষতঃ সুন্দরবনের বাঘের মূৰ্ত্তিগুলি খুবই স্বাভাবিক। এগুলি পুরাতন লোক-শিল্পের চমৎকার নিদর্শন। এই মেলায় যত অধিক সংখ্যক সাধুর সমাগম হয়, বাংলার আর কোন তীর্থে