পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(গ) কলিকাতা-খুলনা-বাগেরহাট দমদম গোরাবাজার-কলিকাতা হইতে ৭ মাইল দূর। পূর্বে এখানে একটি নন-নিবাস ছিল। সেনা নিবাসের পরিত্যক্ত গৃহগুলি এখন বন্দীনিবাসরূপে ব্যবহৃত ইতেছে। এই স্থানে লর্ড ক্লাইভের পল্লী-ভবন ছিল ; এখনও উহা বিদ্যমান আছে। গৃহ বাংলাদেশের প্রাচীনতম অট্টালিকাগুলির অন্যতম ; প্রথমে কে হই। নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন তাহা জানা যায় নাই ; অনুমিত হয়, ইহা পূর্বে ওলন্দাজ বা পর্তুগীজ কুঠি ছিল। ইহা একটি উচ্চ ভূমিতে অবস্থিত ; দমদমা শব্দের অর্থ উচ্চ ভূমি বাটলা এবং ইহা হইতেই স্থানটির নাম হইয়াছে দমদম। এই বাটতে বসিয়াই ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দের ৬ই ফেব্রুয়ারী झंश्ठ ठमि, भि१भ তারিখে নবাব মীরজাফরের সহিত সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এখানকার ভূতপূৰ্ব্ব আর্টিলারি মেসের সম্মুখে একটি প্রকাগু কামান পড়িয়া আছে। প্রবাদ যে এই কামানের নাকি অলৌকিক শক্তি আছে এবং ইহারই সাহায্যে ইংরেজেরা পলাশীর যুদ্ধ জয় করেন। এখনও অনেকে এই কামানকে তৈল ও সিন্দুর দ্বারা লিপ্ত করে। দমদম গোরাবাজারে একটি এরোড্রোম বা বিমানপোতের অবতরণ ক্ষেত্র আছে। এই স্থানের নাম হইতেই “দমদম বুলেট” নামক এক বিশেষ প্রকার “গুলির" নাম হইয়াছে। সৰ্ব্ব প্রথম এই স্থানেই ইহা প্রস্তুত হইয়াছিল। বারাসাত জংসন—কলিকাতা হইতে ১৪ মাইল দূর। ইহা চব্বিশ পরগণা জেলার একটি মহকুমা। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত এই স্থানে জেলার সদর ছিল। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে এই স্থানে বহু ইংরেজ বণিকের বাগান-বাট ও পল্টনের উচ্চ ইংরেজ কৰ্ম্মচারীদিগের শিক্ষার জন্য একটি কলেজ ছিল। শেষোক্ত কারণে ইহাকে “বাংলার ঠান্ড্ৰহাস টু” বলা হইত।