পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ SSS নিৰ্ম্মিত। বঙ্গেশ্বর নসরৎ শাহের নামাঙ্কিত কয়েকটি মুদ্রা বাগেরহাট হইতে আবিষ্কৃত ইয়াছে। বাগেরহাটের আশে পাশে খান জাহান আলির আমলের কতকগুলি পুরাকীৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। বাগেরহাট হইতে যাটগুম্বজ মসজিদ পৰ্যন্ত খান জাহান কর্তৃক নিৰ্ম্মিত একটি রাস্তা এখনও ব্যবহারযোগ্য আছে। বাগেরহাট হইতে চার মাইল দূরবর্তী শিববাড়ী গ্রামে এক প্রসিদ্ধ ও প্রাচীন শিব আছেন। আসলে এই মূৰ্ত্তিটি একটি ধ্যানী বুদ্ধ মূৰ্ত্তি। ইহার কারুকার্য্য অতি সুন্দর। একখণ্ড শুপাকৃতি প্রস্তর কুঁদিয়া এই মূৰ্ত্তিটি নিৰ্ম্মিত। পাদপীঠ বাদ দিয়া ইহা ৩ ফুট শিববাড়ীর শিব (বুদ্ধমূৰ্ত্তি -- প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সৌজন্তে উচ্চ এবং প্রস্থে ১ ফুট ৮ ইঞ্চি । ইহার পাদপীঠে অনেকগুলি ক্ষুদ্রাকৃতি বুদ্ধ । খোদিত আছে এবং মধ্যস্থ বড় মূৰ্ত্তিটির চতুদিকে বুদ্ধদেবের জীবনের প্রধান প্রধান ঘটনাগুলি প্রস্তরে উৎকীর্ণ আছে। বড় মুক্তিটি একটি চৈত্যের মধ্যে অবস্থিত। এই চৈত্যের উপর বুদ্ধগয়ার প্রসিদ্ধ মন্দিরের অনুকরণে একটি মন্দির খোদিত আছে; তাহার মধ্যে আর একটি ক্ষুদ্র ধ্যানীবুদ্ধ মূৰ্ত্তি উৎকীর্ণ। প্রধান মূৰ্ত্তিটির মুখমণ্ডলে শান্ত সমাহিত ভাব অতি সুন্দর ফুটিয়া উঠিয়াছে। প্রবাদ, খান জাহান আলির দরগার পাশ্ববর্তী ঠাকুর দীঘি হইতে এই মুক্তিটি আবিস্কৃত হইয়াছিল। খান জাহান উহা মহেশচন্দ্র ব্রহ্মচারী নামক জনৈক ব্রাহ্মণকে দান করেন। তিনি ইহাকে শিবমূৰ্ত্তি নামে পরিচিত করিয়া প্রতিষ্ঠিত করেন।