পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>९ বাংলায় ভ্রমণ বিক্রয়ের একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল বলিয়া ইহার নাম হয় কলিকাতা। ইংরেজ অধিকারের পূৰ্ব্বে জনৈক ওলন্দাজ পর্যটক এই স্থানে বহু মড়ার মাথার খুলি দেখিতে পাইয়া ইহাকে নরককুণ্ডের স্থান বা “গলগথা” নামে উল্লেখ করায় ইহার নাম কলিকাতা হইয়াছে, এইরূপ অনুমানও কেহ কেহ করেন। জন সাধারণের মধ্যে এইরূপ একটি গল্পও প্রচলিত আছে যে, একজন ইংরেজ জনৈক ঘেসেড়াকে এই স্থানের নাম জিজ্ঞাসা করায় সে ব্যক্তি মনে করে, “ঘাস কবে কাটা হইয়াছে” সাহেব বুঝি এই কথাই জিজ্ঞাসা করিতেছে, এবং উত্তর দেয় “কাল কাটা” এবং এই “কাল কাটা" হইতেই “ক্যালকাটা" বা কলিকাতা নাম হইয়াছে। অপরপক্ষে খালকাটা হইতে কালকাটা ও কলিকাতা নাম হইয়াছে বলিয়াও প্রবাদ আছে । গোবিন্দপুর ও সুতানুটী— এখন খাস কলিকাতা বলিতে যে স্থানকে বুঝায় পূৰ্ব্বে উগ সুতানুটী, কলিকাতা ও গোবিন্দপুর এই তিনটি বিভিন্ন গ্রাম ছিল। বাগবাজারের খাল হইতে নিমতলা পর্যন্ত স্থান সুতানুটী, নিমতল হইতে চাদপাল ঘাট পৰ্য্যন্ত কলিকাতা ও চাদপাল ঘাট হইতে আদিগঙ্গা পৰ্য্যন্ত স্থান গোবিন্দপুর নামে পরিচিত ছিল। কলিকাতায় ইংরেজ আগমনের পূর্বে মুতানুটতে স্থতা বিক্রয়ের একটি বড় হাট ছিল এবং আমেনীয় ও পর্তুগীজগণ