পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ হইলে তিনি স্বয়ং খাড় হাতে আসিয়া তাহাঙ্গে বিনাশ করেন। ধামুকার নিকটবৰ্ত্ত আমতলী গ্রামের পণ্ডিত রঘুনাথ চক্রবর্তী অমরকোষের একখানি টকা লিখিয়াছিলেন । পালংএর ৩ মাইল পশ্চিমে পালং নদীর অপর পারে বড় বিনোদপুর একটি বড় গ্রাম। পূর্বকালে একবার এখানকার প্রজারা বিদ্রোহী হইয়া জমিদারগণের কাছার লুণ্ঠন করতে তাহাদের দমন করিবার জন্য সরকারকে ফৌজ পাঠাইতে হয়; গ্রামের বাহিরে যে স্থানে বিদ্রোহীরা ফৌজের সহিত লড়িয়াছিল তাহা “খেলা” নামে পরিচিত হইয়া আছে। সেই ঘটনা লইয়া ও অঞ্চলে একটি ছড়া চলিত আছে+ " বাজিল রণের কাড়া{ . সিপাহী হইল খাড়, : বিনোদপুরে পইল সাড়া। ’ পালং ছাড়িয়া তারপাশ ষ্টীমার পথে পঞ্জিা খালের উপর জপস স্টেশন মাদারীপুর হইতে ১০ ঘণ্টার পথ। জপস একটি প্রা Aএাম। পূর্বে ইহার নিকটবর্তী স্থানসমূহ সমৃদ্ধ ছিল। ফ্লপসার ৩৪ মাইল পঞ্জিাজনগরে রাজা রাজবল্লভের বহু মন্দির প্রায়াদ প্রভৃতি ছিল। পদ্মার একটি পাঞ্জ স্ট্রীৰ্ত্তিনাশা ইহাদের ধ্বংস করে; সেই হইতে কীৰ্ত্তিনাশা নাম রাজনগর, জগদী ৬ৈাজেশ্বর, প্রভৃতি গ্রাম নদী গর্ভে গিয়াছিল, প্লবীর চর পড়িয়া নূতন বসতি হইয়াছে। জপসার দেড় মাইল দক্ষিণে নরিয়া : ভোজেশ্বর গ্রাম। সংস্কৃত চর্চার জন্য এই গ্রাম প্রসিদ্ধ ছিল। “জীর্ঘ উপাধ্যায়, তুর্গাদাস বেদাচাৰ্য্য, রঘুনাথ বেদান্তবাগী, গোবিন্দদেব শিরোমণি, কৃষ্ণদেব স্মৃতিরত্ন, ভবানীপ্রসাদ ন্যায়ভূষণ, রামরত্ব বিদ্যাবাগীশ, মহামহোপাধ্যায় তারিণীচরণ শিরোমণি, পাৰ্ব্বতীনাথ বিদ্যাভূষণ, গুরুচরণ বিদ্যাসাগর প্রভৃতি বহু পণ্ডিত বংশপরম্পরায় জ্ঞানশলাকা জালাইয়া রাখিয়া এই গ্রামকে প্রসিদ্ধ করিয়াছেন। ভোজেশ্বরের অপর পারে নরিয়া খালের পশ্চিম কূলে মামুরা গ্রামের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে প্রসিদ্ধ গ্রাম ফতেজঙ্গপুর অবস্থিত। এক সময়ে পূর্ববঙ্গের জ্যোতিৰ্ব্বেত্তা পণ্ডিতগণের ইহা প্রধান কেন্দ্র ছিল। বহু পুরুষ ধরিয়া এখানকার জ্যোতিষীগণ পঞ্জিকা প্রকাশ করতেন এবং সমগ্র বাংলার পঞ্জিকার সময় গণনা এখানকার পঞ্জিকার সময় ধরিয়া করা হইত। জ্যোতির্বিবদদিগের পুরাতন মন্দির ও বাট এখনও বর্তমান। পূৰ্ব্বে এই স্থান চাদ ও কেদার রায়ের অধিকারে ছিল। তখন ইহার নাম ছিল শ্ৰীনগর। কথিত আছে, মহারাজ মানসিংহ যখন মুঘল বাহিনী লইয়া পূৰ্ব্ব-বঙ্গ বশে আনিতে যান সে সময়ে তাহার সহকারী কিলমক্‌ প্রথমে পরাজিত হইয়া এই স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তখন মানসিংহ স্বয়ং তাহার সাহায্যে আগমন করেন এবং এই যুদ্ধে কেদার রায় আহত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন। বিজয়ের প্রতীক স্বরূপ মানসিংহ শ্ৰীনগর নাম বদলাইয়া ফতেজঙ্গপুর নাম রাখেন। এখনও এই গ্রামের এক অংশ নগর নামে পরিচিত। মামুরার দুই মাইল পূর্বদিকে ধামরণ গ্রামে একটি সূৰ্য্য মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। মামুরার দেড় মাইল উত্তরে জপসার ঠিক অপর পারে নরিয়া খালের উপর কানুরগী একটি পুরাতন গ্রাম। এ অঞ্চলে খ্যাত “কামুরগায়ের বশিষ্ঠ” বংশে বহু পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহাদর মধ্যে আনন্দচন্দ্র সাৰ্ব্বভৌম, তুর্গাচরণ, স্মৃতিতীর্থ প্রভৃতি সত