পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిy বাংলায় ভ্রমণ ot. ఛె* যান ; বাড়ীর চারিদিকে পরিখার চিহ্ন এবং বিক্ষিপ্ত ইষ্টক রাশি আজিও দৃষ্ট হয়। কেদারপুর হইতে মেঘনা আড়াই মাইল পূৰ্ব্ব দিকে। কেদার রায়ের নাম হইতেই গ্রামের নাম কেদারপুর হইয়াছে এরূপ অনুমিত হয় ; এবং মেঘনার পূর্ব কুলে নোয়াখালি জেলার অন্তর্গত চাদপুর শহরের নাম চাদরায় হইতে হইয়াছে এরূপ কেহ কেহ অনুমান করেন। কেদারপুর গ্রামে রাজা শ্ৰীচন্দ্রদেবের একখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে। সুপ্রসিদ্ধ পাল রাজগণের পতনের পর বাংলায় অল্পকাল খড়গবংশ স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন; এই বংশের পতনের পর বৌদ্ধমতাবলম্বী চন্দ্র বংশ বঙ্গে রাজত্ব করেন। ইহাদের অদিপুরুষ পূর্ণচন্দ্র রোহতাসগড়ের রাজা ছিলেন। তাহার পৌত্র ত্ৰৈলোক্যচন্দ্র পূর্ব ও দক্ষিণভাগে (হরিকেল ও চন্দ্রদ্বীপে) রাজ্য স্থাপন করেন; ইহার রাণীর নাম কাঞ্চনা। ইহাদের পুত্র শ্ৰীচন্দ্রদেবের রাজধানী বিক্রমপুরে ছিল। কেদারপুর হইতে এক মাইল দক্ষিণে নলতা গ্রামে একটি বুদ্ধমূৰ্ত্তি দৃষ্ট হয়। পাটগাতি—খুলনা-বরিশাল স্টমার পথে প্রায় ৬ ঘণ্টার পথ। এখান হইতে ঘাঘর নদী দিয়া নৌকাযোগে ৭ মাইল উত্তর-পূর্বে ফরিদপুর জেলার অন্যতম প্রধান স্থান কোটালীপাড়ায় যাইতে হয়। ইহা সংস্কৃত চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং বহু বিখ্যাত পণ্ডিত এই স্থানে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। কথিত আছে, যে এখানকার সুপ্রসিদ্ধ সিদ্ধান্তবংশ হইতেই এককালে ১৬টি টোল চালান হইত ; তাহ ছাড়া অন্ত টোল তে৷ ছিলই। সম্প্রতি কোটালীপড়ার প্রসিদ্ধ স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিত বামনদাস সিদ্ধান্তবাগীশ মহাশয় পরলোক গমন করিয়াছেন। “আনন্দ লতিকা” নামক চম্পু কাব্যের রচয়িত্রী সুপ্রসিদ্ধা জয়ন্তী দেবী এই বংশের কন্যা বলিয়া কথিত । ইহার স্বামী কৃষ্ণনাথ সাৰ্ব্বভৌমও বিশিষ্ট পণ্ডিত ছিলেন। কোটালীপাড়া থানার অন্তর্গত মদনপাড় গ্রামে মহারাজা লক্ষ্মণ সেনের পুত্র এবং কেশব সেনের ভ্রাতা বিশ্বরূপ সেনের একখানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে। এই তাম্রশাসনদ্বারা মহারাজ বিশ্বরূপ সেন তাহার চতুর্দশ রাজ্যাঙ্কে শ্রীবিশ্বরূপ দেবশৰ্ম্ম নামক ব্রাহ্মণকে পৌণ্ডবৰ্দ্ধন ভুক্তির অন্তর্গত বিক্রমপুরভাগে কিছু ভূসম্পত্তি দান করিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লিখিত এই তাম্রশাসনের বহু অক্ষর আধুনিক বাংলা হরফের মত। বাকী অক্ষরগুলি আধুনিক বাংলা লিপির প্রাচীন রূপ। (বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্য—দীনেশ চন্দ্র সেন) হুলারহাট—খুলনা-বরিশাল স্টীমার পথে প্রায় ১০ ঘন্টার পথ। এখান হইতে বাখরগঞ্জ জেলার অন্যতম মহকুমা সদর পিরোজপুর ৪ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে দামোদর নামক ক্ষুদ্র নদের দক্ষিণে অবস্থিত। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে পিরোজপুর শহরের পত্তন হয়। নিকটস্থ রাজগঞ্জহাট চাউল ও সুপারির বড় গঞ্জ । পিরোজপুরের ৩ মাইল উত্তরে রায়ের কাঠি নামক প্রসিদ্ধ গ্রাম। রায়ের কাঠির রায়েরা বাখরগঞ্জ জেলার একটি পুরাতন বংশ। ইহারা দক্ষিণ রাঢ়ী কায়স্থ। কথিত আছে ইহাদের পূর্বপুরুষ মদন মোহন রায় চব্বিশ পরগণার দেগঙ্গা হইতে এখানে আসিয়া বসতি স্থাপন করেন। এখানকার পুরাতন কালী মন্দিরের সংস্কৃতে লিখিত