পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ & : ○ উছার নাম রাখেন “গঙ্গাবাস"। প্রাসাদের নাম হইতে স্থানটিও গঙ্গাবাস নামে পরিচিত হয়। কৃষ্ণচন্দ্র গঙ্গাবাসে হরিহর মূৰ্ত্তি এবং আরও ছয়টি দেব বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন এবং পূজার জন্য ভূসম্পত্তির ব্যবস্থাও করেন। বর্তমানে একমাত্র হরিহর ও কালভৈরবের মন্দির ছাড়া গঙ্গাবাসের পূর্ব গৌরবের আর কিছুই নাই। বর্তমান শতকের প্রারম্ভে গঙ্গাবাসের ভগ্ন প্রাসাদের স্তৃপ হইতে চারিটি কামান পাওয়া যায়। ঐ কামানগুলি বৰ্ত্তমানে কৃষ্ণনগরের রাজবাটতে রক্ষিত আছে। হরিহর মন্দিরের গাত্রে নিম্নলিখিত শ্লোকটি উৎকীর্ণ আছে— হরিহর মন্দির, গঙ্গাবাস "গঙ্গাবাসে বিধি শ্রুতানুগত মুকুত ক্ষেীণীপালে সকেণ্ঠশ্বিন ঐযুক্ত বাজপেয়ী ভূবি বিদিত মহারাজরাজেন্দ্র দেব। ভেন্তুং ভ্রান্তিং মুরারিত্রিপুরহর ভিামজ্ঞতাং পামরাণাং ് অদ্বৈতং ব্রহ্মরূপ হরিহরমুময় স্থাপয়ল্লোলয়াচ।” . অর্থাৎ--* অজ্ঞ পামরগণ বিষ্ণু ও শিবের মধ্যে যে ভেদ বুদ্ধি করে তাহ নিরসনের জন্য অশ্বমেধযজ্ঞকারী মহারাজ রাজেন্দ্র যথাবিধি অনুসারে এই গঙ্গাবাসে অদ্বৈতব্ৰহ্ম হরিহরের মন্দির স্থাপন করিলেন। * কথিত আছে যে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বহু আয়াসে ও অর্থব্যয়ে চিত্রকূট হইতে শ্রীরামচন্দ্রের পদচিছু আনিয়া গঙ্গাবাসে প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ইহা এখনও দৃষ্ট হয়। ংকালে গঙ্গাবাস হরিহরক্ষেত্র ও মহাবারাণসী নামেও পরিচিত হইত।